কতই না সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে তাঁর উপর দিয়ে; কতই না ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। সব পরিশ্রম আর বেদনারা অশ্রু হয়ে ঝরে পড়েছিল ফাইনালের মঞ্চে, সেটাকে স্বার্থকতার অশ্রু হিসেবে আখ্যায়িত করলে মোটেও ভুল কিছু হবে না, বলছি ভারতের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার কথা।
সম্প্রতি হার্দিকের মুকুটে যুক্ত হয়েছে নতুন এক পালক। হার্দিক পান্ডিয়া এখন টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের এক নাম্বার অলরাউন্ডার। সাম্প্রতিক সময়টা যতটা খারাপ গিয়েছে, তাঁর পারফর্ম্যান্স ততটাই ভালো হয়েছে। ১৭ বছর পর ভারতের ঘরে এসেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শিরোপা। এই অর্জনের পিছনে হার্দিকের অবদান অনস্বীকার্য।
বিশ্ব মঞ্চে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম করে ভারতের ঝান্ডা উড়িয়েছেন, সেই মুহূর্তের সপ্তাহও পেরোয়নি। এর মাঝেই আরো একটি সাফল্য ধরা দিয়েছে হার্দিকের জালে। শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার সাথে ২২২ পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে তিনি এখন টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার।
একটা সময় কোমড়ের ইনজুরির জন্য বল করতেন না। তখন তাঁকে রীতিমত চিন্তার বাইরেই রাখতে চেয়েছিলেন নির্বাচকরা। যদিও হার্দিক সেই ইনজুরি কাটিয়ে নিজেকে প্রমাণ করে যেতে থাকেন। সর্বশেষ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) ব্যাটিং-বোলিং দুটোই চালিয়ে যান সমান তালে। ১৪ ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৪৩.০৫ স্ট্রাইক রেটে করেন ২১৬ রান আর বল হাতে নেন ১১ উইকেট।
আইপিএলের মঞ্চে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা অর্জনে ব্যর্থ হলেও; টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেকে দিয়েছেন উজার করে। এবারের আসরে ৮ ম্যাচে বাগিয়েছেন ১১ উইকেট আর ব্যাট হাতে করেছেন মোট ১৪৪ রান।
ফাইনালের মঞ্চেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। শিকার করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিধ্বংসী ব্যাটার হেনরিক ক্লাসেন আর ডেভিড মিলারের উইকেট, ঘুরিয়েছেন ম্যাচের মোড় , জিতেছেন বিশ্বকাপের তকমা।
বিগত দিনগুলোর অক্লান্ত পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের ফল পেয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাইতো প্রথমবারের মত কোনো ভারতীয় হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে অলরাউন্ডারের শীর্ষস্থানে জ্বল জ্বল করছে হার্দিক পান্ডিয়ার নাম।