কঠিন সময় পার করছেন হার্দিক পান্ডিয়া। বিশ্বকাপ দলে ঠাঁই হলেও আইপিএলে তিনি স্বস্তিতে নেই। নিয়মিতভাবেই হারের স্বাদ পাচ্ছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসরে টেবিলের তলানিতেই অবস্থান তাঁদের। তবে, হারের কারণ হিসেবে পান্ডিয়ার অযোগ্য নেতৃত্বকেই দুষলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ইরফান পাঠান।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স সর্বশেষ হারের স্বাদ পেয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে। ১৪৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে চার উইকেট আর চার বল হাতে রেখেই জয় পায় লখনৌ। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা এই হারের ফলে ১০ ম্যাচে ৭ হারের স্বাদ পায়।
তবে গত মৌসুমেও মুম্বাই এতটা খারাপ অবস্থায় ছিল না। সে বছর দলে ছিল না জাসপ্রিত বুমরাহর মত বোলার। যিনি কিনা এই আসরে মুম্বাইয়ের অন্যতম সেরা ইকোনমিক্যাল পারফর্মার।
আর এখানেই যত অভিযোগ ইরফান পাঠানের। তাঁর অভিযোগের তীর অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার দিকে। গতবার রোহিত শর্মা মুম্বাইকে যতদূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্ব এবার ততটাই পিছিয়ে নিয়ে গেছে। মাঠে হার্দিকের দল পরিচালনার অভাব দেখছেন ইরফান।
এই বিষয়ে এক টুইটে ইরফান পাঠান বলেন, ‘গত বছর মুম্বাই বুমরাহকে (জাসপ্রিত বুমরাহ) ছাড়াই প্লে- অফে কোয়ালিফাই করেছিল। তবে এবার তাঁকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলে পেয়েছে। এমনকি সে দারুণ বোলিংও করে যাচ্ছে। তবুও তাঁদের এই অবস্থা। এটা স্পষ্টতই যোগ্য নেতৃত্বের অভাব। সত্যি বলতে তাঁদের অধিনায়কের অসংখ্য ভুল রয়েছে।’
এটাই প্রথমবার নয় যে, হার্দিকের পারফর্ম্যান্স নিয়ে হতাশ হয়েছেন ভারতের সাবেক এই অলরাউন্ডার। গত সপ্তাহেও তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে, মুম্বাইয়ের টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়।
এই অবস্থায় দীর্ঘমেয়াদে হার্দিককে আদৌ অধিনায়ক করা উচিৎ কি না, সেটা নিয়েও বোর্ডের ভাবা উচিৎ বলে মত দিলেন ইরফান পাঠান। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ভারতের ক্রিকেট বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত তাঁরা এখনও তাঁকে (হার্দিক) আগের মত অগ্রাধিকার দিবেন কিনা। কেননা, আমরা বিশ্বকাপ জিততে পারিনি।’
হার্দিকের সার্বিক পারফর্ম্যান্স নিয়ে ইরফান আরো বলেন, ‘আপনি যদি নিজেকে একজন অলরাউন্ডার মনে করেন, তবে আপনাকে তা প্রমাণ করতে হবে। হার্দিক এখনো আন্তর্জাতিক খেলায় নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ। আমরা তাঁর সক্ষমতার প্রতি লক্ষ্য রাখছি। তবে তাঁর আইপিএল পারফর্ম্যান্স এবং আন্তর্জাতিক পারফর্ম্যান্স নিয়ে এখনো দ্বিধায় আছি। সেখানে বেশ বড় একটা পার্থক্য রয়েছে।’