হাসান মুরাদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। তবে তিনি যতটা না শর্টার ফরম্যাটের খেলোয়াড়, তার থেকেও লঙ্গার ফরম্যাটের। বরং বেশ দেরী করেই সম্ভবত জাতীয় দলের সাদা পোশাকের কাছাকাছি পৌঁছেছেন হাসান মুরাদ।
সাকিব আল হাসানকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে ভীষণ জটিলতা। ঘরের মাঠে নিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলার ইচ্ছে যেন অপূর্ণই থেকে যাবে তার। জটিলতার কারণে সাকিব থমকে গেছেন দুবাইতে। তাই বলে নিশ্চয়ই বাংলাদেশ দল থমকে থাকতে পারে না।
সে কারণেই বাঁ-হাতি স্পিনার সাকিবের পরিবর্তে আরেক বাঁ-হাতি মুরাদকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা। যদিও স্কোয়াডে ইতোমধ্যে তাইজুল ইসলামের মত অভিজ্ঞ বোলার রয়েছেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপে ডান-হাতি ব্যাটারদের আধিক্য রয়েছে। সেদিক বিবেচনায় তাইজুলের পাশাপাশি একজন বাড়তি বাঁ-হাতি স্পিনার খেলানোর ছক কষতে পারে বাংলাদেশ। তেমন ভবিষ্যৎ ভেবেই মুরাদকে দলে নেওয়া।
যদিও এর আগেও সাদা পোশাকে ডাক পেয়েছিলেন মুরাদ, সেটা তার প্রাপ্য। কেননা ঘরোয়া লাল বলের টুর্নামেন্টে বেশ সফলতা রয়েছে তার নামের পাশে। এক ইনিংসে ৮ উইকেট তার সর্বোচ্চ। এছাড়া ১২ বার তিনি পাঁচ বা ততোধিক উইকেট শিকার করেছেন এক ইনিংসে।
৩০ ম্যাচের ফার্স্ট ক্লাস ক্যারিয়ারে ৫০ ইনিংসে বল করেছেন মুরাদ। এর মধ্যে প্রায় ২১ গড়ে ১৩৬টি উইকেট নিজের করে নিয়েছেন। বেশ প্রশংসনীয় এক পরিসংখ্যান বটে। সাদা বলের চাইতে লাল বলে পরিসংখ্যানগত দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন মুরাদ।
লিস্ট এ ও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে মোট ১০৩ উইকেট পেয়েছেন মুরাদ। ৭৬টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি রঙিন পোশাকে সাদা বল হাতে। নূন্যতম এই পরিসংখ্যানই বলে দেয়, লাল বলে বেশ কার্যকর মুরাদ। অতএব একটু দেরীতে হলেও নিজের শক্তিমত্তার মূল্যায়ন পেয়েছেন হাসান মুরাদ। যদিও সাদা পোশাকে তার অভিষেক দোদুল্যমান।