হাসান নাওয়াজ, পাকিস্তানের নয়া বারুদ

শেষ ম্যাচেও ফিফটি করলেন। কিন্তু তৃপ্তি পেলেন না। এবার তাই হাসান নাওয়াজ আর ফিফটিতে থামলেন না। বরং শতকের স্নিগ্ধ উচ্ছ্বাসকে আলিঙ্গন করলেন তিনি।

শেষ ম্যাচেও ফিফটি করলেন। কিন্তু তৃপ্তি পেলেন না। এবার তাই হাসান নাওয়াজ আর ফিফটিতে থামলেন না। বরং শতকের স্নিগ্ধ উচ্ছ্বাসকে আলিঙ্গন করলেন তিনি। নিজের শক্তিমত্তার আর দক্ষতার দারুণ নিদর্শনের চিত্র আঁকলেন হাসান নাওয়াজ।

১৩৪ রানের একটা জুটি গড়েছিলেন হাসান নাওয়াজ ও রাইলি রুশো। সেই জুটিতে চালকের আসনে অবশ্য ছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটার। মারকাটারি ব্যাটিংটা কি করে করতে হয়- সে উদাহরণ সৃষ্টিতে ব্যস্ত রুশো। আরেক প্রান্ত থেকে নাওয়াজ যেন অপেক্ষায় ছিলেন নিজের নামের পাশেও তিন অংক যুক্ত করতে।

রুশো থামলেন ১০৪ রানে। তখনও শতক থেকে নাওয়াজ অনেকটা দূরে। কিন্তু এরপর কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সের রান নামক গাড়ির চালক তরুণ নাওয়াজ। তুলোধুনো করলেন ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বোলারদের। ইনিংসের শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তুলে নেন সেঞ্চুরি। পাকিস্তান সুপার লিগে এটিই তার প্রথম শতক।

পিএসএলে সেঞ্চুরি করার আগেই অবশ্য তিনি পাকিস্তানের জার্সিতে সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৪৪ বলে ১০৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সেই ম্যাচে দলের জয় নিশ্চিত করেই তবে মাঠ ছেড়েছেন। ঘরোয়া সার্কিটে মারকাটারি ব্যাটিংয়ের নব্য তারকা আন্তর্জাতিক মঞ্চেও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন।

ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের তার শতক ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা মাত্র। সে মাহেন্দ্রক্ষণ অবশেষে এসেছে। তিনি যে পাকিস্তানের ভবিষ্যত, তার আর না বলে দিলেও চলছে। ২১ বছরের নাওয়াজ শতক হাঁকিয়েছেন স্রেফ ৪৫ বলে। চারের দ্বিগুণ ছক্কা হাঁকিয়েছেন। নয়টি বিশাল বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

রুশোর পর নাওয়াজের শতকে দলীয় রেকর্ডও গড়েছে কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্স। পিএসএলে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড এখন তাদেরই দখলে। নাওয়াজ এখন গড়ছেন নিজেকে। পাকিস্তানের জার্সি গায়ে সকল দুর্দশার সমাধান হবেন তিনি। রেকর্ড বইয়ের পাতাও ওলোট-পালট করে দিতে তৈরি হচ্ছেন হাসান নাওয়াজ। নামটা তাই মস্তিষ্কে গেঁথে নিন।

Share via
Copy link