শেষ ওভারের রোমাঞ্চে হাসান আনলেন জয়ের হাসি

শেষ ওভারের রোমাঞ্চ। সেই রোমাঞ্চে জয়ের নায়ক হাসান মাহমুদ। শুরু থেকে শেষ বাংলাদেশের একটা অবিস্মরণীয় জয়ের নায়কে পরিণত হলেন হাসান মাহমুদ।

শেষ ওভারের রোমাঞ্চ। সেই রোমাঞ্চে জয়ের নায়ক হাসান মাহমুদ। শুরু থেকে শেষ বাংলাদেশের একটা অবিস্মরণীয় জয়ের নায়কে পরিণত হলেন হাসান মাহমুদ। হাত থেকে ফসকে যাওয়া ম্যাচকে একেবারে মুষ্টিবদ্ধ করতে সহয়তা করেছেন বটে।

জয়ের পথে বাংলাদেশের জন্যে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রভম্যান পাওয়েল। অনবদ্য এক ইনিংসে একা হাতেই টাইগারদের পরাজয়ের কারণে পরিণত হচ্ছিলেন তিনি। ইনিংসের শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্যে প্রয়োজন ছিল দশ রান।

প্রথম বলে একরান হজম করলেন হাসান। পাওয়েল গেলেন স্ট্রাইকিং প্রান্তে। ৬০ রানে তখন ব্যাটিং করছেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। ওয়াইড লাইন ধরে বল ছুড়লেন হাসান। পাওয়েল মিস করলেন। তিনি বুঝে গেলেন উইকেটের ভেতরে আর বল আসছে না। হাসানও তৃতীয় বলটি ছুড়ে দিলেন সেই ওয়াইড লাইন ধরে।

কিন্তু অফ স্ট্যাম্পের দিকে এগিয়ে গিয়ে কাভার অঞ্চল দিয়ে শট খেলতে চাইলেন পাওয়েল। কিন্তু ব্যাটের বাহিরের দিকের খোঁচা লেগে বল চলে যায় লিটন দাসের দস্তানায়। সেখানেই যেন জয় বাংলাদেশের পক্ষে লেখা হয়ে যায়। কিন্তু হাসান ও লিটন মিলে দ্রুতই কাজটা শেষ করতে চাইলেন।

অফ স্ট্যাম্পের বাইরের দিকেই থাকবে বলের লাইন, এমন পরিকল্পনায় ফিল্ডিং সাজালেন। কিন্তু শেষ ব্যাটার আলজারি জোসেফকে বোকা বানালেন হাসান। সোজা স্ট্যাম্প বরাবর বল ছুড়ে বোল্ড আউট করেন হাসান। তাতে করেই সাত রানের জয় পায় বাংলাদেশ।

তবে ইনিংসের একেবারে শুরুর দিকেই হাসান একটা ইতিবাচক বার্তা দিয়েছিলেন বটে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ১৪৮ রান ডিফেন্ড করা বেশ দুরুহ এক কাজ। কিন্তু গোটা বোলিং ইউনিটকে আত্মবিশ্বাস জোগালেন হাসান। প্রথম ওভারে তার খরচ মাত্র একরান। চাপের পরিবেশ সৃষ্টি করেন হাসান।

তাছাড়া পুরো বোলিং ইনিংস জুড়েই কার্যকর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন হাসান। মাঝের দুইটি ওভারে ১৫ রান। তবে হাসানের স্মৃতিতে নিশ্চয়ই শেষ ওভারটার স্থায়িত্ব হবে অনেকদিন। কেননা তিনিই তো জয়ের অবরুদ্ধ দ্বার করেছেন উন্মোচিত। শেখ মেহেদীর ধ্বংসযজ্ঞের আস্তানায় শেষ গোলা নিক্ষেপ করেছেন ডানহাতি হাসান মাহমুদ।

Share via
Copy link