জাকির হাসানকে নিয়ে সামান্য দুশ্চিন্তাগ্রস্ত চান্ডিকা হাতুরুসিংহে। অনুশীলনে উপস্থিত থাকা সকলের সাথেই তিনি আলাপ করেছেন জাকিরের ভুল নিয়ে। সিনিয়র ক্রিকেটার মুমিনুল হক থেকে শুরু করে নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদুল হাসান জয়দের কাছ থেকে ত্রুটির সমাধান খুঁজতে দেখা গেছে জাকিরকে। এমনকি কোচ হাতুরু নিজেও বেশ কয়েক বার দেখিয়ে দিয়েছেন তার ভুল।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোচনায় চান্ডিকা হাতুরুসিংহে। বিপিএলের ম্যাচ তিনি মাঠে বসে দেখেননি। এমনকি টেলিভিশনও মাঝে মধ্যে বন্ধ করে দেন। বিপিএল যেন এক বিতৃষ্ণার জায়গা হেড কোচ চান্ডিকা হাতুরুসিংহের জন্য।
এর পেছনের কারণও বর্ণনা করেছেন। দেশীয় খেলোয়াড়রা ঠিকঠাক ‘এক্সপোজার’ পায় না। ফ্রাঞ্চাইজিগুলো অনেক বেশি নির্ভরশীল বিদেশি খেলোয়াড়দের উপর। তবে হাতুরু তার শিষ্যদের নিয়েই প্রতিটা মুহূর্ত ভাবতে চান। তিনি চান তার ছায়াতলে থাকা প্রতিটা খেলোয়াড় যেন থাকে সঠিক পথে।
সেই পথটা বলে দিতেই বিপিএলের প্লে-অফের মাঝেই নিজের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করে দিয়েছেন হাতুরু। জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত যোগ দিয়েছেন। তাছাড়া বহুদিন বাদে দলে ফেরা নাঈম শেখও ছিলেন উপস্থিত। তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলামরা ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন। তবে হাতুরুর নজর কেড়েছেন তরুণ ব্যাটার জাকির হাসান।
না, নেট অনুশীলনে চমকে দেওয়ার মত কিছু করেননি। বরং তার দূর্বলতাই চোখে লেগেছে হাতুরুসিংহের। জাকির হাসান ফরোয়ার্ড ডিফেন্সের ক্ষেত্রে খানিকটা নিজের জন্য হুমকির সৃষ্টি করছেন। তার ব্যাটিং পজিশন অনুযায়ী সেটা স্পিন বোলারদের বিপক্ষে স্ট্যাম্পের পেছনে ক্যাচ তুলে দেওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাছাড়া পেসারদের বিপক্ষে ড্রাইভ করতে গেলেও বিপাকে পড়তে হবে জাকির হাসানকে।
মূলত ব্যাটিং স্ট্যান্স নেওয়ার সময় শরীরের বেশ কাছ থেকেই ব্যাট ‘ব্যাকলিফট’ করেন জাকির। তাতে করে তার পেটের দিকটায় হাত খানিকটা আটকে যায়। যাতে তার হাতের ‘ফ্রী ফ্লো’ নষ্ট হয়। তাতে করে বলের লাইনে ব্যাট পৌঁছাতে খানিকটা দেরি হয়। তাছাড়া হাত থেকে ব্যাট হয়ে বলে স্থানান্তরিত হওয়া শক্তিটা মসৃণ হয় না। সেই কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্যাচ উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
জাকিরের তেমন একটি ত্রুটিই যেন চোখে পড়েছিল হেড কোচের। তিনি তার শিষ্যর সেই ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছেন। সমাধানের পথ বলে দিয়েছেন। এরপর জাকির, বলে দেওয়া সমাধান অনুযায়ী খানিক অনুশীলনও করেছেন। চোখের পলকে বদলে যায়নি সমস্যা। নতুন কিছু আয়ত্ত্বে আনতে তো সময় আর একাগ্রতা প্রয়োজন। সেটা হাতুরু বোঝেন, ছড়িয়ে দেন তার শিষ্যদের মাঝে।