ব্যাট হাতে ১৮৩ রান করা মানেই ভারতের অধিনায়ক বনে যাওয়া। এটা নিহাতই এক কাকতালীয় ঘটনা হলেও, এমনটাই ঘটেছে ভারতের ক্রিকেটের তিন মহাতারকা— সৌরভ গাঙ্গুলি, মাহেন্দ্র সিং ধোনি এবং বিরাট কোহলির সাথেই।
ক্রিকেট মাঠে খেলা কিংবা রেকর্ডের গল্পই শুধু হয় না , এমন কিছু ঘটনাও থাকে যা রীতিমতো অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। সৌরভ, ধোনি আর কোহলি—তিন সময়ের তিন নায়ক, তিনটি ইনিংস, কিন্তু একই গল্প। নেতৃত্বে উঠে আসার আগে তাঁদের ব্যাট থেকে এসেছিল এক অনন্য ১৮৩ রানের ইনিংস।
১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ, টনটনে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারত প্রথমে ব্যাট করতে নামে। সৌরভ গাঙ্গুলির ব্যাটে ঝড় ওঠে। ৭ ছক্কা, ১৭ চার—মোট ১৮৩ রান। ওই ম্যাচে রাহুল দ্রাবিড়ের ১৪৫ রান যোগ করে ভারত তোলে ৩৭৩। জয় আসে ১৫৯ রানে। সেই ইনিংস খেলার ঠিক এক বছর পরে সৌরভ পান অধিনায়কত্বের মুকুট।
২০০৫ সালে, জয়পুরে ধোনির দৃশ্যপট। শচীন টেন্ডুলকার আউট হওয়ার পর যখন ক্রিজে আসেন ধোনি, ভারতের স্কোরবোর্ডে তখন চাপ। কিন্তু ধোনি যেন অন্য এক গ্রহের। ১০ ছক্কা, ১৫ চারে ১৮৩*—মাত্র ১৪৫ বলে। ভারত ম্যাচ জেতে ৬ উইকেটে। সেদিনই প্রথমবার বোঝা যায়, এই ছেলেটি শুধু উইকেরক্ষক নয়—ভবিষ্যতের অধিনায়ক। ওই ইনিংস খেলার দুই বছর পর খুলে যায় তাঁর অধিনায়কত্বের দরজা।
২০১২ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩২৯ রানের বিশাল লক্ষ্য। বিরাট কোহলি তখনো পুরোপুরি “কিং কোহলি” হয়ে ওঠেননি। কিন্তু ওই ম্যাচেই তাঁর জন্ম নতুন করে। ২২টি চার, ২টি ছক্কায় ১৮৩ রান—মাত্র ১৪৮ বলে। জয় আসে ১৩ বল হাতে রেখে। কোহলির আগ্রাসন, ধৈর্য আর নিখুঁত টাইমিং দেখে বোঝা যায়—তিনিই ভবিষ্যতের তারকা হতে যাচ্ছেন। ২০১৩ সালে তাঁর হাতে ওঠে অধিনায়কত্বের ভার।
তিন ইনিংস, তিন গল্প—কিন্তু এক সিঁড়ি। ভারতের তিন মহারথী পরবর্তীতে অধিনায়ক হিসেবেও ছিলেন সেরাদের একজন। আর সেই ১৮৩ যেন শুধুই একটি সংখ্যা নয়, বরং একটি ‘লিডারশিপ কোড’।