শ্রীলঙ্কাতে অভিষেক হয়েছিলো মিরাজের, এবার সেই লঙ্কাতেই হচ্ছে তাঁর পূর্ণ মেয়াদে ওয়ানডে অধিনায়কত্বের সূচনা। যোগ্যতার বিচারে কোন প্রশ্ন নেই তবে, তিন ফরম্যাটে তিন ক্যাপ্টেন প্রথা কতটুকু যৌক্তিক বাংলাদেশের জন্য?
সাম্প্রতিক সময়ে মেহেদি হাসান মিরাজ দুর্দান্ত পারফর্মার। নাজমুল শান্তর পরে অধিনায়ক হিসেবে যোগ্য নামটা তাঁরই ছিল। তাই তো অধিনায়ক হওয়াটা ভক্তমহলে বেশ স্বস্তি জোগাচ্ছে। তবে অধিনায়ক বদল নিয়ে কিছু প্রশ্ন এবং সংকটের জায়গা তৈরি হয়েছে দেশের ক্রিকেট পাড়ায়। যেভাবে নাজমুল হোসেন শান্তকে সরিয়ে দেওয়া হলো তা সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে।
পারফরম্যান্স যেমনই হোক ক্যাপ্টেন হিসেবে শান্তকে দেশের অধিকাংশ মানুষই পছন্দ করেন না। তাই হয়তো কিছুদিন আগে শান্ত নিজেও চেয়েছিলেন অধিনায়কত্বের ইতি টানতে। তবে সে সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাঁকে ছাড়তে চায়নি।
শেষ পর্যন্ত নির্ভার থাকার জন্য টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়ান শান্ত। এবার ওয়ানডে থেকেও মুছে গেল তাঁর নাম। আলোচনার তোয়াক্কা না করেই বোর্ড থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হলো ‘ওয়ানডেতে শান্ত আর অধিনায়ক থাকছেন না।’ এভাবে একজন ক্যাপ্টেনকে সরিয়ে ফেলা বোধহয় বাংলাদেশ বলেই সম্ভব।
মিরাজের কাঁধে নতুন ভার আসায় তিন ফরম্যাটে এখন বাংলাদেশের তিন অধিনায়ক তৈরি হলো। এর আগেও টি-টোয়েন্টিতে সাকিব, ওয়ানডেতে তামিম এবং টেস্টে মুমিনুল হক ছিলেন দায়িত্বে। তবে সে সময়টা ছিলো বাংলাদেশের জন্য ভুলে যাওয়ার মতোই।
ফরম্যাট যাইহোক বাংলাদেশের স্কোয়াড প্রায়ই একই থাকে। তাই তো আলাদা ফরম্যাটে ভিন্ন অধিনায়কের কোচিং দর্শনের নেতিবাচক প্রভাবটা পড়ে মাঠের খেলায়। সেই সাথে গ্রুপিং কেলেঙ্কারির মতো জঘন্য ঘটনা তো রয়েছেই।
তিন ফরম্যাটে তিন ক্যাপ্টেন প্রথা তাই বাংলাদেশের মতো দলের জন্য বিপজ্জনকই বটে। ক্রিকেটের এই ভগ্নদশার মাঝে এমন সিদ্ধান্ত হতে পারে ক্রিকেটের আরেক হতাশার গল্প।