লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে ব্যর্থ সূচনা হৃদয়ের

জাফনা কিংসের হয়ে গত আসরে দুর্দান্ত ছিল তাঁর পারফরম্যান্স, এরপর জাতীয় দলের হয়ে বিশ্ব মঞ্চেও সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। 

বাংলাদেশ হতাশার একটা বিশ্বকাপ কাটিয়েছে, সেই হতাশার রেশ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি কেউই। তবে তীব্র হতাশার মধ্যেও স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন তাওহীদ হৃদয়, বাকিদের ব্যর্থতার মাঝেও তিনি ছিলেন উজ্জল। তাই লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগেও তাঁর দিকে বাড়তি নজর ছিল সবার যদিও এলপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ রাঙিয়ে রাখা হলো না তাঁর।

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ দিয়েই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের আসন পোক্ত করেছিলেন এই ব্যাটার। জাফনা কিংসের হয়ে গত আসরে দুর্দান্ত ছিল তাঁর পারফরম্যান্স, এরপর জাতীয় দলের হয়ে বিশ্ব মঞ্চেও সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।

এরই ধারাবাহিকতায় এবার ডাম্বুলা সিক্সার্স দলে নিয়েছিল এই ডানহাতিকে। তবে শুরুটা হলো না ঠিকঠাক, প্রথম ম্যাচে বি লাভ ক্যান্ডির হয়ে মাত্র এক রান করে ফিরে গিয়েছেন তিনি। সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকার বলে লেগ বিফোরের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয়েছে তাঁকে।

সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যর্থতা হয়েছিল প্রতি ম্যাচেই। সেখান থেকে প্রায় প্রতি ম্যাচেই দলের হাল ধরেছিলেন হৃদয়; শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ২০ বলে ৪০ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সংগ্রামী সেই ইনিংস তাঁর সামর্থ্যেরই সাক্ষ্য দেয়।

সেরকম কিছু করার সুযোগ এলপিএলেও পেয়েছিলেন এই টাইগার ক্রিকেটার। টসে জিতে আগে বোলিং করতে গিয়ে বি লাভ ক্যান্ডি স্রেফ ১৮ রানেই তিন উইকেট তুলে নিয়েছিল। এরপর তিনি হাল ধরবেন সেটাই হয়তো প্রত্যাশা করেছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট, তবে সেটা আর পূরণ হয়নি; দ্রুতই আউট হয়ে গিয়েছেন।

তবে প্রত্যাশা পূরণের সময় এখনি শেষ হয়ে যায়নি, এই তারকা নিশ্চয়ই আগামী ম্যাচগুলোতেও একাদশে থাকবেন। অন্তত সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় তাঁর উপর ভরসা করতেই পারে ডাম্বুলা, এখন সেই ভরসার প্রতিদান কিভাবে দেন তিনি সেটাই দেখার বিষয়।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...