ইশ! যদি বুমরাহ থাকতেন!

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের শেষ দু’টো ওভার শাহীন আফ্রিদি করতে পারেননি। পারলে হয়তো পাকিস্তান সেই দফায় আরেকটা বিশ্বকাপ জিতেই যেত। একই কথা হয়তো বুমরাহর ক্ষেত্রেও বলা যায়। সিডনির তৃতীয় দিনে বুমরাহ থাকলে হয়ত ফলাফলটা অন্যরকম হতেও পারত!

ইশ! যদি জাসপ্রিত বুমরাহ থাকতেন! দিন শেষে এই আক্ষেপটাই সঙ্গী হল ভারতের। সিরিজের সেরা বোলার তিনি। অথচ, সিরিজের শেষ ইনিংসটা খেলারই সুযোগ হল না তাঁর। ফলাফল, ১০ বছর পর বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফি হাতছাড়া হল ভারতের।

তৃতীয় দিন বলই হাতে নিতে পারেননি বুমরাহ। ফলে ১৬২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে বড় সমস্যা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ৬ উইকেটে ম্যাচ হারল ভারত। সিরিজ জিতে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে চলে গেল প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া।

লাঞ্চ বিরতির পর এক ওভার বল করেই উঠে গিয়েছিলেন বুমরাহ। তখনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, সিডনিতে তিনি আর বল করতে পারবেন না। সেই আশঙ্কাটাই সত্যি হল। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ কিংবা মোহাম্মদ সিরাজরা চেষ্টা করেছিলেন, তবে শেষ রক্ষা হয়নি।

সকালে খেলা শুরুর আগে বল করার চেষ্টা করেন বুমরাহ। সমস্যা হওয়ায় তাঁকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি ভারত। একটা সময় ৫৮ রানে ৩ উইকেট ফেলে দিয়ে আয়োজকদের কিছুটা চাপে ফেলে দিয়েছিলেন প্রসিদ্ধ। সেই সময় পর্যন্ত ম্যাচে ছিল ভারত। এরপরই সব শেষ।

বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফির এই আসরে বুমরাহ উইকেট পেয়েছেন ৩২ টা। আর তিনি যে অসম্ভবকে সম্ভব করার সামর্থ্য রাখেন সেটা তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। ৩০ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার জিততে যখন মাত্র ৩০ রানই দরকার, সেই অবস্থা থেকে তিনি ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। বাকিটা ইতিহাস। সাত রানে ম্যাচ জিতে ভারত, চ্যাম্পিয়ন হয় বিশ্বকাপের।

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের শেষ দু’টো ওভার শাহীন আফ্রিদি করতে পারেননি। পারলে হয়তো পাকিস্তান সেই দফায় আরেকটা বিশ্বকাপ জিতেই যেত। একই কথা হয়তো বুমরাহর ক্ষেত্রেও বলা যায়। সিডনির তৃতীয় দিনে বুমরাহ থাকলে হয়ত ফলাফলটা অন্যরকম হতেও পারত!

 

Share via
Copy link