২৭ বছর পর শ্রীলঙ্কার কাছে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে ভারত; সিরিজের প্রথম ম্যাচ ড্র করার পর বাকি দুই ম্যাচ হেরে বসেছে তাঁরা। এমন হতাশাজনক ফলাফলের মূল কারণ তাঁদের স্পিন ভীতি। পুরো সিরিজে ৩০ উইকেটের মধ্যে ২৭টিই স্বাগতিক স্পিনাররা শিকার করেছেন – দলটির ব্যর্থতার তাই অন্য যুক্তি না খুঁজলেও হয়।
ধীর গতির আর শার্প টার্ন আছে এমন উইকেট ব্যবহার করেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু এটা মোটেই অপরিচিত কিছু হওয়ার কথা নয় টিম ইন্ডিয়ার জন্য। তাছাড়া লঙ্কান ব্যাটাররা যেভাবে স্পিন সামলেছেন সেটা দেখার পরও এভাবে অসহায় আত্মসমর্পণ মেনে নেয়ার মত নয়।
কুশল মেন্ডিস, আভিষ্কা ফার্নান্দো উইকেটের সামনে খেলার পরিবর্তে সুইপ শটের মারে দুইপাশে খেলার চেষ্টা করেছেন সবসময়। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটারদের সেই সাহস বা সামর্থ্য কোনটাই ছিল না। বলার মধ্যে, রোহিত শর্মাই কেবল রান পেয়েছেন ধারাবাহিকভাবে। কিন্তু বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়াররা রীতিমত হতাশ করেছেন।
আত্মবিশ্বাসের অভাব হোক বা দক্ষতার, ফুটওয়ার্কে বারবার গড়মিল করেছেন তাঁরা। কখনও অহেতুক ফ্রন্টফুটে খেলতে গিয়ে পা বাড়িয়ে দিয়েছেন সামনে; আবার কখনও ব্যাকফুটে গিয়ে পরাস্ত হয়েছেন লো বাউন্সে।
চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আসলে উপায় ছিল না গৌতম গম্ভীরের; কোচ হিসেবে নিজের প্রথম মিশনেই বড়সড় ধাক্কা হজম করতে হলো তাঁকে। তিনি নিজে স্পিনের বিপক্ষে দারুণ সাবলীল ছিলেন, কিন্তু কোচ হওয়ার এই এক অসুবিধে, শিষ্যরা মাঠে প্রবেশের পর তাঁর আর কিছু করার থাকে না। তবে পরবর্তী সিরিজে কিভাবে ভুল কতটুকু শুধরে দিতে পারেন এই তারকা, সেটা দেখার বিষয়।
শ্রীলঙ্কা ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগেই এগিয়ে ছিল; ভারতকে তাই উড়িয়ে দেয়াটা অবশ্যম্ভাবী ছিল। অধিনায়ক রোহিত শর্মা সে জন্যই বোধহয় অজুহাতের আশ্রয় নেননি। নিজেদের ব্যর্থতা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন।
ভুলগুলো নিয়ে কাটাছেরা হবে সেই অঙ্গীকার অবশ্য করেছেন এই ওপেনার, তবে সেটা সংবাদ সম্মেলনে নয় বরং ড্রেসিং রুমেই করা হবে। ভারতের পরবর্তী মিশন ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সিরিজ। সেখানেই বোঝা যাবে নিজেদের নিয়ে কতটা কাজ করেছেন তাঁরা।