ভারত দলকে বলা যেতে পারে একটা কমপ্লিট প্যাকেজ। ব্যাটিং ইউনিট হোক কিংবা বোলিং- প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করতে সংকল্পবদ্ধ গোটা দল। বোলিং আক্রমণের উদাহরণই দেখা যাক। বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্যে বাইশ গজকে অগ্নিপরীক্ষার মঞ্চ বানিয়ে ফেলেছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহরা।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের কাছে ভারতের বোলিং ইউনিটের কোন উত্তরই যেন ছিল না। থাকবে কি করে! ভারত যে টাইগার ব্যাটারদের দিকে ছুঁড়ে দিয়েছে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ। মিলেমিশে কানপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট তুলেছে ভারতের বোলিং ইউনিট।
জাসপ্রিত বুমরাহ রীতিমত অপ্রতিরোধ্য। তার বিপক্ষে তাবড় তাবড় ব্যাটাররা খাবি খায় প্রতিনিয়ত। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশের ব্যাটাররা। জাসপ্রিতেরও তো বিশ্রাম প্রয়োজন। তাই বলে যে ভারত প্রতিপক্ষকে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ দেবে, সেটা ভাবাও ভুল। নব্য ত্রাস হয়ে সামনে চলে আসেন আকাশ দীপের মত বোলাররা।
আকাশ চাপ সৃষ্টি করলে অপরপ্রান্তে উইকেট নিতে শুরু করে আবার স্পিনাররা। যাদের দলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মত একজন দ্বিগজ বোলার থাকেন, তাদের দুশ্চিন্তার কোন কারণ থাকতে নেই। ভারত ঠিক সে জন্যই নির্ভার। সেই নির্ভরতার জায়গাকে পোক্ত করতে চলে আসেন রবীন্দ্র জাদেজা। এই নামগুলোই আসলে ভারতের শক্তিমত্তার মূর্ত প্রতীক।
জাসপ্রিত বুমরাহ সুইংয়ে কাবু করেন। আকাশদীপ স্কিড বোলিংয়ে ভয় ধরান। অশ্বিন, জাদেজাদের স্পিনবিষ ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি করে। এমন একটা বোলিং আক্রমণ, যে কোন দলের প্রথম চাহিদা। এমন একটা বোলিং আক্রমণ যে কোন ম্যাচ ছিনিয়ে আনতে সক্ষম।
তাই তো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চক্রে সবার উপরে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। এবার তাদের লক্ষ্য শিরোপা জয়। অপূর্ণতার গল্পগুলোকে এবার পূর্ণতায় রূপান্তর করতে চায় রোহিত শর্মার দল। বোলিং ইউনিট অতন্দ্র প্রহরী, সম্মুখভাগের সেনানী হয়ে লক্ষ্য অর্জনের দিকে রাখছেন পূর্ণ মনোযোগ।