ভারত, যেখানে ক্রিকেটকে শুধুই খেলা নয়, বরং ধর্ম হিসেবেই মানা হয়; যেখানে ক্রিকেটের একেকটি ম্যাচ একেকটি উৎসবে পরিণত হয়। সেই ভারতের জার্সি গায়ে চাপিয়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা স্বপ্ন দেখে হাজারো তরুণ। তাঁরা বছর জুড়ে খেলে থাকেন দেশের বিভিন্ন ঘরোয়া ক্রিকেটে। একারণেই ভারতের হাতে থাকে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বিকল্প দল।
রঞ্জি ট্রফি, বিজয় হারারে ট্রফি কিংবা দুলীপ ট্রফি ছাড়াও আরো অসংখ্য ঘরোয়া টুর্নামেন্ট নিয়মিত আয়োজন হয়ে থাকে ভারতে। তাছাড়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) তো বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় টুর্নামেন্টের জায়গা দখল করে আছে। টি-টোয়েন্টি ধাঁচের খেলোয়াড়দের সহজেই খোঁজ মেলে এই টুর্নামেন্টে। তাইতো ভারতের ক্রিকেটের পাইপ লাইন এত উর্বর।
দেশকে প্রতিনিধিত্বের সৌভাগ্য যদিও কেবল ১১ জনেরই হয়। তবে সেই দলে জায়গা পেতে অপেক্ষায় থাকে শত শত খেলোয়াড়।তাঁদের মূলত তৈরি করা হয় ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতে। যার ফলে ভারতের সবসময়ই বিকল্প টিম এ, বি , সি ইত্যাদি প্রস্তুত থাকে।
ভারতেই জন্মেছেন অসংখ্য কিংবদন্তী ক্রিকেটার। সুনীল গাভাস্কার, শচীন টেন্ডুলকার, মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা হালের বিরাট কোহলি সবাই ভারতের জন্য এনেছেন অসংখ্য সাফল্য। তাঁরা প্রত্যেকেই ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোর ফসল।
সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের পর জাতীয় দলকে দেয়া হয়েছে বিশ্রাম। তবে ভারত তাঁদের বিকল্প দলকে পাঠিয়েছে জিম্বাবুয়েতে। সেই দলেও রয়েছে অভিষেক শর্মা, রিয়ান পরাগের মত আইপিএল কাপানো বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। অর্থাৎ বিকল্প দলেও অভিজ্ঞতার ঘাটতি রাখেনি ভারত।
ভারতের মাটিতে ক্রিকেট এক আবেগের নাম। ক্রিকেটের শুরুটা ইংল্যান্ডে হলেও, ভারতেই রয়েছে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ ফ্যান বেজ। আর সেই ক্রিকেটকেই অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে যুগে যুগে আবির্ভূত হওয়া ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
বলতেই হবে বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) দূরদর্শী পরিকল্পনার ফলেই ভারতের ক্রিকেট পাচ্ছে শক্তিশালী বিকল্প দল। যুগের পর যুগ নিরাপদ হাতেই উঠছে ভারতের ক্রিকেট ভবিষ্যত।