গম্ভীরের ভারত সুপার ওভারে সুন্দর

সুপার ওভারের প্রথম বলেই ওয়াইড, স্নায়ুযুদ্ধে একটু বোধহয় পিছিয়ে পড়েছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। কিন্তু ক্রিকেট তো নদীর মতই, এই ভাটা, এই জোয়ার। তিনিও জোয়ারের মত করেই তীব্র বেগে সাফল্যের তীরে আছড়ে পড়েছেন। অবিশ্বাস্য বোলিংয়ের প্রদর্শনী দেখিয়ে হতভম্ব করে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কাকে।

আলোচিত ওভারটির দ্বিতীয় বলে কুশল মেন্ডিস কেবল একটা সিঙ্গেল নিতে পেরেছিলেন। পরের বলে কুশল পেরেরা বড় শট খেলতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ডিপ স্কয়ার লেগে। নতুন ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কাও একই চিত্রের মঞ্চায়ন করেছেন। ফলে দুই রানেই থামতে হয় লঙ্কানদের, আর ভারত স্রেফ এক বলেই নির্ধারিত লক্ষ্য টপকে যায়।

অবশ্য সুপার ওভার নয়, ভারতীয় এই অফ স্পিনার পুরো ম্যাচ জুড়েই দাপট দেখিয়েছেন। ব্যাটে, বলে সমানতালে পারফর্ম করে জয়ের অন্যতম নায়ক বনে গিয়েছেন তিনি। আইপিএলের বাজে পারফরম্যান্সের পরও তাঁকে ভরসা করেছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট, সেটারই যৌক্তিকতা প্রমাণ হলো এবার।

শ্রীলঙ্কা অবশ্য এদিন শুরুটা দারুণভাবে করেছিল, ভারতীয় টপ অর্ডার ধসিয়ে দেয়ার পর মিডল অর্ডারকেও প্রতিরোধ গড়তে দেয়নি তাঁরা। শুভমান গিল যখন নিঃসঙ্গ শেরপার মত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই দৃশ্যপটে হাজির হন ওয়াশিংটন। এক ছয়ের পাশাপাশি দুই চারের মারে খেলেন ১৮ বলে ২৫ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস।

জয়ের জন্য সেটা যথেষ্ট ছিল না অবশ্য, বল হাতেও স্বাগতিকদের আটকে রাখতে হতো। সেই কাজটাই করেছেন তিনি, দুই কুশলের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারানো দলকে চালকের আসনে বসিয়েছেন এক পলকে। সতেরোতম ওভারে পর পর দুই উইকেট তুলে ম্যাচের গতিপথ বদলে দিয়েছিলেন এই তারকা।

রবীন্দ্র জাদেজা অবসর নেয়ার পরেই শূণ্যস্থান পূরণের জন্য সবার আগে তাঁর নাম উঠে এসেছিল আলোচনায়। তাই তো সাম্প্রতিক অফ ফর্ম সত্ত্বেও বিশ্বকাপ পরবর্তী দলে রাখা হয়েছে তাঁকে। তিনি যে সেই দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত সেটা এবার মাঠেই প্রমাণ করলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link