প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিলো ভারত, পরের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান তো দাঁড়াতেই পারেনি তাঁদের বিপক্ষে। আর সবশেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড নাস্তানাবুদ হয়েছে দলটার স্পিন আক্রমণের বিপক্ষে – সবমিলিয়ে নিঁখুত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েই সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে রোহিত শর্মার দল। কিন্তু সমালোচনা ঠেকানো গিয়েছে?
তা কিন্তু নয়, দুবাইতে একই স্টেডিয়ামে নিজেদের সব ম্যাচ খেলায় ইতোমধ্যে ভারতকে খোঁচা মেরেছেন নাসের হুসেইন, মাইকেল আথারটনের মত কিংবদন্তিরা। ভারত বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে, এমনটাই বিশ্বাস তাঁদের। শুধু সাবেক ক্রিকেটাররা নন, ইংল্যান্ডের জশ বাটলার এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যান ডার ডুসেনও অভিযোগ জানিয়েছেন এ ব্যাপারে।
অবশ্য ভারতের কিংবদন্তি অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি চুপ করে থাকতে পারেননি। নিজের উত্তরসূরীদের পক্ষে সরব হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের উইকেটগুলো অনেক ভাল, ভারত সেখানে খেললে আরো বেশি রান করতো।’
এই বাঁ-হাতির কথা অবশ্য উড়িয়ে দেয়া যায় না। পাকিস্তানের উইকেট আসলেই দুবাইয়ের উইকেটের চেয়ে ভাল। গ্রুপ পর্বের সাতটি ম্যাচ পাকিস্তানের তিন ভেন্যুতে আয়োজিত হয়েছে – আর এই সাত ম্যাচে ব্যাটিং গড় প্রায় ৩৫, আটটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি সতেরোটি হাফসেঞ্চুরির দেখা মিলেছে সেখানে। আবার দুইটি ইনিংস জায়গা করে নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে, এছাড়া ১৪ ইনিংসের মধ্যে ছয়বার ৩০০ রানের গন্ডি পেরুনো সম্ভব হয়েছে।
অথচ আরব আমিরাতে ব্যাপারটা উল্টো। তিন ম্যাচ শেষে সেখানকার ব্যাটিং গড় স্রেফ ২৮, আর সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ২৪৯। সেটাও ভারত করেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
আবার টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ নিঃসন্দেহে ঈর্ষণীয়। শুভমান গিল, রোহিত শর্মার ওপেনিং জুটি; তিন নম্বরে বিরাট কোহলি – একেবারে দুর্দান্ত টপ অর্ডার। মিডল অর্ডারে শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া প্রত্যেকেরই আছে বড় রান করার সামর্থ্য। লোয়ার মিডল অর্ডারে আবার জাদেজা, অক্ষররা আছেন। তাই সৌরভ গাঙ্গুলির কথা ফেলে দেয়া যায় না, যদিও দলটার সুবিধা পাওয়ার অভিযোগও মিথ্যে নয়।