ভারতীয় পেসারদের ‘জ্যাকপট’

নিজের চোখকেও নিশ্চয়ই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ভূবনেশ্বর কুমার। অনেকদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই পেসারকে নিয়ে নিলামে খুব বড় আগ্রহ থাকার কোনো কারণ ছিল না।

নিজের চোখকেও নিশ্চয়ই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ভূবনেশ্বর কুমার। অনেকদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই পেসারকে নিয়ে নিলামে খুব বড় আগ্রহ থাকার কোনো কারণ ছিল না।

এমনকি এতটাই আড়ালে আছেন যে, তিনি অবিক্রিত থাকলেও সেটা নিয়ে বড় হা-হুতাশ হত না। তবে, তিনি ঝড় তুললেন। তাঁকে নিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আর লখনৌ সুপার জায়ান্টস রীতিমত কাড়াকাড়ি করল।

আর সেই লড়াইয়ে শেষ মূহূর্তে এসে বাজি জিতে নিল র‌য়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। আর এই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর লড়াইয়ের মধ্যেই ভূবির দাম উঠল আকাশে। ১০ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে বিক্রি হলেন তিনি।

আসলে তিনি একা নন, ভারতীয় পেসাররা ছিলেন আইপিএল নিলামের দ্বিতীয় দিনের আলোচিত মুখ। জেদ্দার নিলাম ঘরে ভারতীয় পেসারদের উত্থান শুরু হয় ভূবনেশ্বর কুমারের হাতে ধরে। এরপর মুকেশ কুমার।

আট কোটি রুপির বিনিময়ে দিল্লী ক্যাপিটালসেই থেকে তিনি। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়ে যাওয়া মুকেশ কুমারের জন্য রীতিমত আরটিএমের আশ্রয় নেয় দিল্লী।

দিপক চাহার ছিলেন আরও উপরে। তাঁকে নয় কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। লম্বা সময় চেন্নাই সুপার কিংসে ছিলেন এই পেসার। তাঁর জন্য সিএসকে নিজেও চেষ্টা করেছিল, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

সিএসকে তাঁর জন্য আট কোটি রুপি পর্যন্ত দর তোলে, তবে সিএসকে-কে ছাড়িয়ে যায় মুম্বাই। এরপর ভারতের টেস্ট বোলার আকাশদীপকে আট কোটি রুপিতে কিনে নেয় লখনৌ।

এমনিতেই পেসারদের কদর বেশি ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি আসরে। তার ওপর সেই পেসার যদি হন ভারতের, তাহলে দামটাও হুট করে কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আইপিএলের নিলামে সেটাই প্রমাণ হল আবার।

Share via
Copy link