‘ব্যতিক্রমী’ ব্যাট টেস্ট, আইপিএলের নয়া সংকট

আইপিএল মানেই রানের ফোয়ারা, বাউন্ডারি হাঁকানোর মিছিল। প্রতি ম্যাচেই যেন চলছে রানের রেকর্ড ভাঙা-গড়ার চ্যালেঞ্জ। আর সেখানে মুখ্য ভূমিকায় ব্যাটাররা। তাই তো প্রশ্ন উঠে—রানের রহস্য আসলে কোথায়?

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) মানেই ব্যতিক্রম কিছু। মাঠের খেলা কিংবা নিয়ম-নীতির প্রক্রিয়া—সবখানেই যেন নতুন চমক দেখায় আইপিএল। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি, ব্যাট যাচাই প্রক্রিয়ায় এসেছে বড় ধরণের রদবদল। যে নিয়মে ব্যাটাররা একটু বিপাকেই পড়বেন।

আইপিএল মানেই রানের ফোয়ারা, বাউন্ডারি হাঁকানোর মিছিল। প্রতি ম্যাচেই যেন চলছে রানের রেকর্ড ভাঙা-গড়ার চ্যালেঞ্জ। আর সেখানে মুখ্য ভূমিকায় ব্যাটাররা। তাই তো প্রশ্ন উঠে—রানের রহস্য আসলে কোথায়?

রহস্য আসলে ব্যাটারদের ব্যাটে। নিজের সুবিধা মতোই ব্যাট বানিয়ে ২২ গজে নামেন তারা। কারো ব্যাট চওড়া, কারোটা আবার লম্বা। তাই তো খেলাটা এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাটার’স গেম। তবে চাইলেই কি কেউ যেকোনো মাপের ব্যাট নিয়ে খেলতে পারেন?

ব্যাট যাচাই প্রক্রিয়ার কিছু নীতিমালা রয়েছে। আইসিসি আইন অনুযায়ী, ব্যাটের প্রস্থ ৪.২৫ ইঞ্চি, গভীরতা ২.৬৪ এবং প্রান্ত হওয়া উচিত ১.৫৬ ইঞ্চি। সেই সঙ্গে ব্যাটারের ব্যাট গেজ টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। তবুও নিয়মের ফাঁকফোকর গলে ব্যাটাররা পছন্দসই ব্যাট নিয়েই মাঠে আসেন, রান করেন। আর এখানেই এবার নড়েচড়ে বসেছে আইপিএল।

সপ্তাহব্যাপী এক পর্যালোচনা সভায় আইপিএল আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—এখন থেকে প্রত্যেক ব্যাটারের ব্যাট ইনিংস শুরু করার আগে গজ টেস্টের মাধ্যমে যাচাই করা হবে। উদ্বোধনী ব্যাটারদের ব্যাট ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই চতুর্থ আম্পায়ার পরীক্ষা করবেন, আর বাকি ব্যাটারদের ব্যাট অন-ফিল্ড আম্পায়াররা মাঠেই যাচাই করবেন। আগের নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ শুরুর আগে ড্রেসিংরুমেই হতো গেজ টেস্ট।

মৌসুমের মাঝপথে এই পরিবর্তন নিয়ে চলছে নানান আলোচনা। জানা গেছে, বিভিন্ন দলের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল যে, প্রতিপক্ষ দলের কিছু ব্যাটার নির্ধারিত মাপের চেয়ে বড় ব্যাট ব্যবহার করছিলেন—বিশেষ করে ব্যাটের মূল অংশে। এতে করে প্রতিপক্ষ দলগুলোর মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।

গত মঙ্গলবার, পাঞ্জাব কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচে সুনীল নারাইন এবং আনরিখ নর্কিয়া গেজ টেস্টে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হন। আর এই ঘটনা কেন্দ্র করেই চলছে তুমুল আলোচনা। চওড়া ব্যাটই কি তবে রানের আসল রহস্য?

এছাড়াও আম্পায়ারিং সেক্টরে এসেছে আরও কিছু পরিবর্তন। বিশেষ করে উইকেট পাওয়ার পর উদযাপন সংক্রান্ত বিষয়ে নমনীয় হতে বলা হয়েছে আম্পায়ারদের। মূলত দিগভেশ সিং রাঠি তার ‘নোটবুক সেলিব্রেশন’ নিয়ে দু’বার শাস্তি ভোগ করেছেন, যা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সব মিলিয়ে আইপিএলে ব্যাটে-বলে লড়াই যেমন জমে উঠেছে, তেমনই জমে উঠেছে নিয়ম-নীতির লড়াইটাও।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link