এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ – ম্যাচের শেষদিকে পাঁচজন ফরোয়ার্ডকে একই সঙ্গে মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলেন ডোরিভাল জুনিয়র। আগে থেকেই ছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রাফিনহা। এরপর একে একে বদলি হিসেবে নেমেছেন গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি, লুইস হেনরিকস এবং এস্তেভাও। অথচ তবুও জেতা হলো ব্রাজিলের, ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেই মাঠ ছাড়লো তাঁরা।
কোচ ডোরিভালের পরিকল্পনায় আসলে কমতি আছে ট্যাকটিক্যাল জ্ঞানের। তাঁর দল নির্বাচন কিংবা ফরমেশন সবকিছুতেই এলোমেলো ভাব। সবচেয়ে বড় কথা, ফলাফলের জন্য তিনি ব্যক্তিগত দক্ষতার ওপরেই বেশি নির্ভর।
ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচের লাইনআপ দেখা যাক, শুরুর একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন তিন উইঙ্গার ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রাফিনহা এবং স্যাভিনহা। একরকম বাধ্য হয়েই নিজের প্রিয় উইঙ্গার পজিশন ছেড়ে এটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতে হয়েছে রাফিনহাকে। অথচ বার্সার হয়ে চলতি মৌসুমে উইংয়ে ঝড় তুলেছেন তিনি।
এদের ওপরে ইগর জেসুস তো ছিলেন, অর্থাৎ ফোর ম্যান ফরোয়ার্ড লাইন তৈরি করেছেন ডোরিভাল। স্বাভাবিকভাবেই এতে নষ্ট হয়েছে মাঝমাঠের ভারসাম্য; গোলের সুযোগ তৈরি কিংবা রক্ষণের সাথে আক্রমণভাগের সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে তাই মিডফিল্ডারদের পাওয়াই যায়নি তেমন একটা। আবার কাউন্টার এটাকের সময় সহজেই এলোমেলো হয়ে যায় ব্রাজিলের মিডফিল্ড।
ভেনিজুয়েলা ঠিক সেটাই করেছে, লো ব্লক ডিফেন্ডিংয়ের সাহায্যে ব্রাজিলের বৈচিত্র্যহীন আক্রমণভাগকে বস্তাবন্দি করে ফেলেছিল তাঁরা। ওপেন প্লে থেকে গোল করার তেমন কিছু সুযোগও পায়নি তাঁরা। কিন্তু নিজেরা ঠিকই বলের দখল পেলেই সবটুকু নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
সবমিলিয়ে বলতে গেলে, ব্রাজিলের মত হেভিওয়েট দল পরিচালনার জন্য ডোরিভালকে নিজেকে যথেষ্ট প্রমাণ করতে পারছেন না। সম্প্রতি সিবিএফের ইউরোপীয়ান কোচ খোঁজার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, দলের এমন বাজে পারফরম্যান্স চলতে থাকলে গুঞ্জন সত্যি হয়েও যেতে পারে। এক্ষেত্রে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটা হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ, এই ম্যাচের ফলাফলই কোচের ভবিষ্যৎ গড়ে দিবে।