আইপিএলের ক্লোজ ম্যাচ কিংবা টেবিলের তলানির দল দিল্লীর টেবিলের শীর্ষে থাকা গুজরাটকে হারিয়ে দেয়া ; সব কিছুই আড়ালে পড়ে গেছে বিরাট- গম্ভীরের দ্বন্দ্বের ঘটনা। এক দশক ধরে নিজেদের মধ্যকার দা-কুমড়া সম্পর্ক বয়ে চলে বেড়াচ্ছেন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী এই দুই তারকা।
ভারত সহ সারা বিশ্বেই এখন আলোচনা এই দুই তারকার মধ্যকার বিবাদ নিয়ে। আইপিএল কতৃপক্ষও দুজনকে ম্যাচ ফির পুরোটা টাকাটা জরিমানা করছে আচরণ বিধি ভাঙায়। তবে ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার মনে করেন আরো বড় ধরণের শাস্তি দেয়া যেত বিরাট আর গম্ভীরকে যেন ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।
লখনৌ পেসার নাভিন উল হকের সাথে বিরাট দ্বন্দ্বে জড়ালে সেখানে গিয়ে হাজির হন গম্ভীর। একপর্যায়ে তাঁর আর বিরাটের মধ্যে শুরু হয় বাদানুবাদ। দুই দলের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের সদস্যরা না থামালে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যেতে পারতো এই ঘটনা। এমন ঘটনা বিরাট ও গম্ভীর দুইজনকেই ম্যাচ ফির ১০০% জরিমানা করেছে আইপিএল কতৃপক্ষ। নাভিনকে জরিমানা করা হয় ম্যাচ ফির ৫০%।
ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সুনীল গাভাস্কার বলেন, ‘আমি ভিডিওটি কিছুক্ষণ আগে দেখেছি। আমি ম্যাচটা সরাসরি দেখিনি। এই জিনিসগুলো কখনোই ভালো দেখায় না। ম্যাচ ফির ১০০ শতাংশতে আসলে কত রুপি হয়? এটা যদি কোহলির ক্ষেত্রে হয় তাহলে সে যদি ব্যাঙ্গালুরু থেকে ১৭ কোটি রুপি পায় সম্ভাব্য ১৬ ম্যাচের জন্য তবে সে ক্ষেত্রে দাঁড়ায় ম্যাচ প্রতি ১ কোটি রুপি। তার মানে তাকে এক কোটি রুপি জরিমানা করা হয়েছে। এটি খুবই বড় একটি জড়িমানা।’
গম্ভীরের ব্যাপারে গাভাস্কার বলেন, ‘আমি জানি না গম্ভীরের পরিস্থিতি কি। তাদের দুজনেরই নিশ্চিত করা দরকার যে এমন ঘটনা আর ঘটবে না। এখন আশা করা যায় এমনটা আর ঘটবে না কারণ এটা খুবই কড়া শাস্তি, বড় জরিমানা। মাঠে আপনাকে পুরোটা উজাড় করে খেলতে হবে।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন খেলতাম তখন মাঠে একজন আরেকজনকে নিয়ে বিদ্রুপ করতো কিন্তু এখনকার মত এত আগ্রাসন দেখা যেত না। এর একটা বড় কারণ হতে পারে যে এখন সব কিছু টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হচ্ছে। যেহেতু সব কিছুই সম্প্রচারিত হচ্ছে তাই অনেকেই সবকিছুতে একটু বাড়তি কিছু করার চেষ্টা করে।’
কোহলি গম্ভীরের জরিমানাটা যথেষ্ট মনে করলেও গাভাস্কার মনে করেন এসব ঘটনার জন্য এমন শাস্তি দেয়া হোক যাতে দ্বিতীয়বার এমন আর না ঘটে।
গাভাস্কার বলেন, ‘আমার কথা হলো, এমন কিছু করা হোক যাতে এটি নিশ্চিত হয় যে এমন ঘটনা আর ঘটবে না। ১০ বছর আগে শ্রীশান্ত আর হরভাজন সিংয়ের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেছিলো। তখন তাদের কয়েকটি ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। এমন কিছুই করা উচিত যেন এমন ধরণের ঘটনা আর ভবিষ্যতে না ঘটে। একই সাথে যেটা ওই দলকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। সেটা হবে কঠোরতর শাস্তি।’