দুই বছর বাদ পুরোনো ঠিকানায় ফিরতে না ফিরতেই অধিনায়কত্বও পেয়ে গেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। রোহিত শর্মাকে সরিয়ে পরের আসরের জন্য ভারতের এই অলরাউন্ডারকে অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএল ইতিহাসের অন্যতম সফল এ ফ্র্যাঞ্চাইজির এমন সিদ্ধান্তের পর থেকেই যেন দলের অন্দরমহলে বিরাজ করছে থমথমে এক অবস্থা।
অধিনায়ক হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়ার নাম ঘোষণার দিন দুয়েক পেরিয়ে গেলেও, এখন পর্যন্ত তাঁকে শুভকামনা জানাতে দেখা যায়নি কোনো সতীর্থকে। এমনকি রোহিত শর্মার নিজেরও এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। গুঞ্জন চাউর হয়েছে, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের এমন আচমকা সিদ্ধান্তে কিছুটা বিস্মিতই হয়েছেন রোহিত। এমনকি এটাও শোনা যাচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে তাঁর সাথে কোনো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
তাছাড়া, দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার জাসপ্রিত বুমরাহ ও সুরিয়াকুমার যাদবের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা একটি পোস্ট নিয়েও তৈরি হয়েছে নতুন রহস্য। ইন্সটাগ্রামের এক স্টোরিতে বুমরাহ লেখেন, ‘চুপ থাকাই এক সময় সব উত্তর দিয়ে দিবে। কিছু সময় লোভী হওয়াও ভালো। কিন্তু সব সময় ন্যায় নীতিবোধ থেকেও হয় না।’
সুরিয়াকুমার যাদব কোনো কিছু না লিখে ‘ব্রোকেন হার্ট’-এর ইমোজি দিয়ে পোস্ট করেন। বোঝাই যাচ্ছে, মুম্বাইয়ে এমন হঠাত অধিনায়ক বদল মোটেই ভালভাবে নেননি এ দুই ক্রিকেটার। এখন দেখার পালা, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস দলের অন্দরমহলে এই ধরনের থমথমে অবস্থা কতটা দীর্ঘসূত্রিতায় গড়ায়।
রোহিতকে অধিনায়ক থেকে সরানোর পরপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের টুইটার ও ইন্সটাগ্রাম পেজগুলোতেও। এরই মধ্যে মুম্বাই তাদের ৪ লাখ টুইটার অনুসারী হারিয়েছে। এ ছাড়া আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি এক দিনের ব্যবধানে ইনস্টাগ্রাম অনুসারীও হারিয়েছে ৪ লাখের বেশি।
মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক ছিলেন রোহিত। দলটিকে ১১ মৌসুমে নেতৃত্ব দিয়ে পাঁচটি আইপিএল ও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টির শিরোপা এনে দিয়েছেন তিনি। ২০১০ সালে ডেকান চার্জারস ছেড়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে যোগ দেন তিনি। তখন থেকে মুম্বাইয়ের সঙ্গেই আছেন এ ক্রিকেটার।
দলটির নেতৃত্ব পান আরও তিন মৌসুম পর ২০১৩ সালে। ব্যর্থতার দায়ে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক রিকি পন্টিং সরে দাঁড়ালে তাঁর জায়গা নেন রোহিত। অধিনায়কত্বের অভিষেক মৌসুমেই মুম্বাইকে আইপিএলের প্রথম শিরোপা এনে দেন। একই বছর তাঁর নেতৃত্বে দলটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জেতে।