ঈশান কোণে বিশ্বকাপ

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় এক তারকা হিসেবেই ভারতীয় জাতীয় দলে উত্থান ঘটেছিলো ঈশান কিষাণের। নিজের আদর্শ মানেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। খেলার ধরণটাও ঠিক উইকেটরক্ষণ সেই সাথে আগ্রাসী ব্যাটিং। ঈশান এখন খেলছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে। আপাতদৃষ্টিতে যেটিকে ভারতের দ্বিতীয় সারির দল বলে ভাবা হচ্ছে। অন্যদিকে ভারতের বিশ্বকাপ দলটি এখন অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ব আসরটির প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। সে এক ভিন্ন আলাপ, আবার ঈশান কিষাণ প্রসঙ্গে ফেরা যাক।

সম্ভাবনাময় ঈশান ক্যারিয়ারের শুরুতেই খানিকটা ধাক্কা খেয়েছেন। অবশ্য ক্রিকেটে একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারে খারাপ সময় যায় আসেই। নইলে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজকের ঈশানকে আমরা দেখতে পেতাম অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে, বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে মগ্ন। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা না পেলেও, চব্বিশ বছর বয়সী ঈশান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের সবটুকু ঢেলে দিচ্ছেন।

প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। এই ম্যাচে ঈশান কিষাণ গুরত্বপূর্ণ একটি ইনিংস খেলেছেন। ৮৪ বলে ৯৩ রানের ইনিংসটি ভারতের জয়কে সহজ করে দেয়। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নিজের নাম খুঁজে না পাওয়ার ব্যাপারে ঈশান বলেন, যখন আপনি একটি বড় টুর্নামেন্টের অংশ নন, অবশ্যই সেটা খেলোয়াড় হিসেবে খারাপ অনুভূতি।’

 

তিনি আরও বলেন,যখন আপনি নিজের দেশকে বিশ্বকাপের মঞ্চে জিততে সাহায্য করবেন, তখন সেটি সম্পূর্ণ আলাদা এক অনুভূতি। কিন্তু আমি মনে করি আমার কিছু ত্রুটি ছিল, যা নির্বাচকরা লক্ষ্য করেছেন। আমার নিজের আরও উন্নতি প্রয়োজন এবং আমি মনে করি সেই দিকগুলোতে আমি আরও ভাল করতে পারব। আজ যদি আমি ৭৮টি ছক্কা মেরে থাকি, তাহলে আমি জানি আমারও ৯১০টি ছক্কা মারার ক্ষমতা আছে।

গত বছরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের অংশ ছিলেন কিষাণ। কিন্তু এবার, বাজে ফর্মের কারণে তাকে টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডের বাইরে রাখা হয়েছে। এবারের টি- টোয়েন্টি স্কোয়াড ও নিজের অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন,

এই মুহূর্তে আপনি যদি টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দলটির দিকে তাকান, দেখবেন সবাই সত্যিই ভালো করছে। ব্যাটার, মিডল অর্ডার, ওপেনার, তারা সবাই সত্যিই ভালো করছে এবং দারুণ ফর্মে আছে। তাই আমি আমি আমার সময় আসার জন্য অপেক্ষা করব। পরের বার যখন আমার সুযোগ আসবে, তখন আমি আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস রাখতে চাই। আমি সেই হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করছি এবং আমি এখন দলকে জিততে সাহায্য করতে পারি। যখন নিজের উপর পরিপূর্ণ আত্মবিশ্বাস আসবে, আমি বলবো তখনই আমি দলে জায়গা করে নেয়ার জন্য প্রস্তুত।

শিখর ধাওয়ানের নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ খেলা, দলটিকে ভারতের ‘বিদল তথা দ্বিতীয় সারির দল বলায় কিছুটা মনোক্ষুণ্ণ হয়েছেন এই ক্রিকেটার। তাই তাঁরা চেয়েছেন এই সিরিজ জিতে সবাইকে একটি যোগ্য জবাব দিতে। সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতেও জয় তুলে নিয়েছে ভারত। ফলে নিজেদের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে, সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ভারতের তথাকথিত দ্বিতীয় সারির দল। ঈশান এবার চাইলে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেই পারেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link