ইতিহাস তৈরি হলো ব্লুনার্জি স্টেডিয়ামে, ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচে অভিষেক হল দানিয়েল মালদিনির। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মত কোন পরিবারের তিনটি ভিন্ন ভিন্ন প্রজন্ম ইতালির জার্সি গায়ে জড়ানোর সৌভাগ্য লাভ করেছে। দাদা সিজার মালদিনি, বাবা পাওলো মালদিনি দু’জনই জাতীয় দলে নিজেদের ছাপ রেখে গিয়েছেন; এবার পালা ছেলে দানিয়েলের।
শুরুটা অবশ্য ভালোভাবেই করেছেন এই মিডফিল্ডার, অবদান রেখেছেন গোল করতে। নাটমেগের সাহায্যে তিনি বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ডেস্টিনি উদোগির উদ্দেশ্যে, সেখান থেকে গোল করেছেন অধিনায়ক ডি লরেঞ্জো।
তিন নম্বর মালদিনির অভিষেকের দিন অবশ্য লরেঞ্জো একাই লাইম লাইট সব দখলে নিয়েছেন। ডিফেন্ডার হয়েও জোড়া গোল করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। প্রথম গোলটা এসেছিল সেট পিস থেকে, রাস্পাদোরির ভাসানো ফ্রি কিক থেকে বল জালে জড়ান ইতালির অধিনায়ক।
সে তুলনায় দ্বিতীয় গোলে অবশ্য আরো বেশি সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে হয়েছে তাঁকে, প্রায় পনেরো গজ দূর থেকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন নাপোলি তারকা।
২০২২ সালের পর থেকে জাতীয় দলের হয়ে কোন গোলই করতে পারেননি তিনি। প্রায় দুই বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে গোলের দেখা পেলেন তিনি; শুধু তাই নয়, প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ব্রেসের কীর্তি যোগ হলো তাঁর ঝুলিতে। সেটাও আবার অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড বাহুতে পরেই। সব মিলিয়ে মনে রাখার মতই একটা রাত পার করলেন তিনি।
আজ্জুরিদের গোল বন্যার শুরুটা অবশ্য হয়েছিল স্পট কিক থেকে, প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময় তাঁদের আটকে রাখতে পারলেও ৪১ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি হজম করে ইসরায়েল। আর সেই সুযোগে দলকে এগিয়ে দেন মাতেও রেতেগুই। এছাড়া জালের দেখা পেয়েছেন মিডফিল্ডার ডেভিড ফাত্তেসি।
বেলজিয়ামের সাথে ড্র করে আগের ম্যাচেই পয়েন্ট হারিয়েছিল ইতালি, তবে জয়ের ধারায় ফিরতে একটুও সময় লাগেনি তাঁদের। সেই সাথে পয়েন্ট টেবিলেও সবার আগে উঠে আসলো তাঁরা, কোয়ার্টার ফাইনালের খুব কাছে এখন দলটি।