লড়াইয়েই আনন্দ জাকেরের

আক্ষেপ থাকার কথা নয় জাকের আলীর। দলের জন্য লড়াই করে যাওয়াতেই আনন্দ তাঁর। আর লড়াইয়ের এই আনন্দ সবাই নিতে পারলে দিব্যি বাংলাদেশের স্কোর ৩৩০-এ গিয়ে ঠেকত।

আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন, এবার ঠিক সেখান থেকেই শুরু হল জাকের আলীর ইনিংস। মাঝে যে একটা ফরম্যাট বদলে গেছে – সেটা মনে না রাখলেও চলে। জ্যামাইকার বাতাসটা তিনি সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসেও টেনে আনলেন।

লক্ষ্যটা অভিন্ন। টেস্টে যা চেয়েছিলেন, ওয়ানডেতেও তাই চাইছিলেন জাকের আলী। আর সেটা হবে যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নিতে হবে দলীয় সংগ্রহ।

সামনে বোলার কে আছে, উইকেটে কি আছে না আছে – অতো কিছু ভাবার সুযোগ নেই। জাকের আলী অনিকও খুব বেশি কিছু ভাবতে জাননি। তিনি মন দিয়েছেন রান করায়, বাউন্ডারি হাকানোয়।

আর সেটা করতে গিয়ে ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং দলীয় চাহিদাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। দলের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক মেহেদী হাসান মিরাজ সাজঘরে ফিরলে উইকেটে আসেন তিনি। ক্রিজে থাকেন শেষ ওভার পর্যন্ত।

শেষ ওভারে ছক্কা হাকাতে গিয়ে উইকেট হারান। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁর ক্যাচ ধরেন ব্রেন্ডন কিং। এর আগে ৪০ বলে করে যান ৪৮ রান। ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও তিনটি ছক্কা।

স্ট্রাইক রেট ১২০! আধুনিক ওয়ানডে ক্রিকেটের পরিপূর্ণ এক ফিনিশিং নক! পিকচার পারফেক্ট! দু’টো বল হাতে ছিল তখনও, নিজের জন্য খেললে চাইলেই হাফ সেঞ্চুরি করে ফিরতে পারতেন। ওয়ানডেতে সেটা তাঁর প্রথম হাফ সেঞ্চুরি হতে পারত।

সেটা হয়নি। আক্ষেপ থাকার কথা নয় জাকের আলীর। দলের জন্য লড়াই করে যাওয়াতেই আনন্দ তাঁর। আর লড়াইয়ের এই আনন্দ সবাই নিতে পারলে দিব্যি বাংলাদেশের স্কোর ৩৩০-এ গিয়ে ঠেকত।

Share via
Copy link