গ্যাব্রিয়েল জেসুস বোধহয় স্বর্গে আছেন। স্বর্গে যেমন যা ইচ্ছে করা যায়, যা মন চায় তাই ঘটানো যায় তিনিও তেমনি ইচ্ছেমত কারিকুরি দেখিয়ে যাচ্ছেন। ফুটবল মাঠে রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন, আগের ম্যাচে কাবারাও কাপে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। প্রিমিয়ার লিগেও সেই ধারা ধরে রেখেছেন তিনি।
ম্যাচের তখন মাত্র পাঁচ মিনিট, বুকায়ো সাকার ক্রস আরেক ব্রাজিলিয়ান গ্যাব্রিয়েলের গায়ে লেগে চলে আসে জেসুসের কাছে। একেবারে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান তিনি।
অবশ্য সেই গোলের রেশ কাটার আগেই সমতায় ফেরে ক্রিস্টাল প্যালেস, তাইরিক মিচেলের কাছ থেকে বল পেয়ে ইসমাইলা সার ঢুকে পড়েন ডি বক্সে। এরপরই নিখুঁত শটে পরাস্ত করেন ডেভিড রায়াকে। কিন্তু ব্যাপারটা মোটেই পছন্দ হয়নি আর্সেনালের নাম্বার নাইনের – সেজন্যই দুই মিনিটের ব্যবধানে আবারো স্কোরবোর্ডে নিজের নাম তোলেন তিনি। তাঁর গোল ঠেকানো তো দূরে থাক, চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের।
জেসুস তো গোল করতেই ভুলে গিয়েছিলেন, প্রিমিয়ার লিগে সবশেষ কবে জালের দেখা পেয়েছেন সেটাও বোধহয় মনে করতে পারবেন না। আর চলতি মৌসুমে তো এটাই তাঁর প্রথম গোল স্কোরিং ম্যাচ! অবশ্য স্ট্রাইকার পজিশন নিয়ে ব্রাজিলও আছে বেকায়দায়, তাই তাঁর ফর্মে ফেরা অনেকটা স্বস্তি দিবে তাঁদের। দুই ম্যাচে পাঁচ গোল করার পর এবার অন্তত তাঁকে ঘিরে স্বপ্ন দেখতে পারে সমর্থকেরা।
যদিও এদিন উজ্জ্বল ছিলেন আরেক সাম্বা বয় গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লিও। দলের হয়ে চতুর্থ গোলটা করেছেন তিনি; এছাড়া পুরো ম্যাচ জুড়ে গোলের পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করেছেন তিন তিনবার। লেফট উইং ধরে তাঁর যে দাপট দেখা গিয়েছে সেটা আসলেই আলাদা করে চোখে পড়ার মতন।
অন্যদিকে কাই হাভার্টজের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়েছে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের দুর্ভাগ্যের সুবাদে। জেসুসের হেডার গোলবারে লেগে ফিরে এলে ফাঁকা পোস্টে গোল করার সুযোগ পেয়ে যান হাভার্টজ। বলা বাহুল্য, সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি আদায় করে নিয়েছেন প্রিমিয়ার লিগে নিজের ষষ্ঠ গোল।