অবশেষে এল আকাঙ্ক্ষিত সেই মুহূর্ত, যার জন্য এত হাহাকার সেই আরাধ্য অভিজ্ঞতার স্বাদ পেলেন জুলিয়ান আলভারেজ। চার ম্যাচের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পঞ্চম ম্যাচে এসে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে নিজের প্রথম গোল করলেন তিনি, লা লিগাতেও এটি তাঁর প্রথম গোল বটে।
ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে জয় তখন প্রায় নিশ্চিত অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের; রেফারিও ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে আছেন ঠিক কখন বাঁশি দিবেন সেটা জানতে। ঠিক সে সময় সৃষ্টি হয় ম্যাজিক মোমেন্ট।
কাউন্টার এটাক থেকে বল পেয়ে যান দলটির আক্রমণভাগের সদস্যরা, ডি-বক্সে ঢু্কে সরাসরি পরীক্ষা নেন, প্রথমবারের চেষ্টা অবশ্য জর্জি মামারদেশভিলি রুখে দেন। কিন্তু তাঁর হাত থেকে ফেরত আসা সোজাসুজি এসে আলভারেজের পায়ে কাছেই। খালি গোল পোস্ট এবং ভাগ্যের সহায়তা পেয়ে এবার আর কোন ভুল করেননি তিনি। পায়ের টোকায় বল জালে পাঠিয়ে খোলেন জীবনের নতুন অধ্যায়।
এর আগে অবশ্য ভ্যালেন্সিয়ার জালে দুইবার বল জড়িয়েছিল দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। ৩৯ মিনিটের সময় কনর গ্যালাঘার, এরপর বিরতি থেকে ফিরে দশ মিনিট পর অ্যান্টনি গ্রিজম্যান গোল উদযাপনের উপলক্ষ তৈরি করেন আবারও। তবে ম্যাচশেষে সব লাইম লাইট আলভারেজের ওপরেই।
ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ইউরোপিয়ান ফুটবলের মূলধারায় এসেছিলেন তিনি। দলগত সাফল্যও মিলেছে পরের সময়টাতে; কিন্তু নিজে নিয়মিত খেলতে না পারায় এবং দলের মেইন ম্যান হতে না পায়ায় পরিচয় বদলো নেন। ইংল্যান্ড থেকে স্পেনে পাড়ি জমান এই স্ট্রাইকার।
তবে শুরুটা ভাল হয়নি, উদ্বোধনী গোলের জন্য তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছে লম্বা একটা সময়। এখন সেই আত্নবিশ্বাসকে পুঁজি করে এগিয়ে যাওয়ার পালা, মোমেন্টাম ক্যারি করার পালা – যে স্বপ্ন আর লক্ষ্য নিয়ে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে এসেছেন তিনি সেটা পূরণ করা কিন্তু অসম্ভব কিছু নয়।