মেইডেন ওভার খেলার ওস্তাদ লোকেশ রাহুল

বিরাট কোহলির পর সবচেয়ে প্রতিভাবান আর স্টাইলিশ ভারতীয় ব্যাটার বলে অনেকেই আখ্যায়িত করতেন লোকেশ রাহুলকে। ক্যারিয়ারের শুরুটাও হয়েছে দুর্দান্ত। কিন্তু মুদ্রার উল্টো পিঠটা দেখতেও খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি রাহুলের।

ভারতের সহ-অধিনায়ক হয়েও দল থেকে বাদ পড়েছেন বাজে পারফর্মেন্সের কারণে। ভারতীয় দলের মাথা ব্যাথার কারণ হওয়া রাহুলের ফর্ম এবার ব্যাথার কারণ লখনৌ সুপার জায়ান্টসের জন্য। আইপিএলে লখনৌ অধিনায়কের ব্যাট যেন মোটেই হাসছে না।

ভারতীয় দলের হয়ে বাজে ফর্মটা যেন আইপিএলেও টেনে এনেছেন রাহুল। লখনৌর হয়ে প্রথম চার ম্যাচেই ব্যর্থ ছিলেন রাহুল। পঞ্চম ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে অর্ধ-শতক করলেও সেই ইনিংস অবশ্য দলের জয় এনে দিতে পারেনি। পরের ম্যাচে রাজস্থানের বিপক্ষে আরো একবার হতাশ করেন রাহুল।

রান করতে পারছেন না, রাহুলের সমস্যা শুধু এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ নেই। দলের ওপর চাপ বাড়ছে রাহুলের ব্যাটিংয়ে। এই যেমন রাজস্থানের বিপক্ষে ম্যাচে ট্রেন্ট বোল্টের করা ইনিংসের প্রথম ওভার মেইডেন খেলেন রাহুল। ট্রেন্ট বোল্টের করা ছয়টি ডেলিভারির একটিতেও কোনো রান নিতে পারেননি রাহুল।

২০১৪ সালের আইপিএল থেকে এখন পর্যন্ত ইনিংসের প্রথম ওভার মেইডেন হবার ঘটনা ঘটেছে ২৭ বার। এর মধ্যে ১১ বারই সেই ওভারটি খেলেছেন রাহুল। এই পরিসংখ্যানই বোঝায় ইনিংসের শুরুতে কত খানি সংগ্রাম করতে হয় রাহুলকে।

রাহুলের এমন মেইডেন ওভার খেলার অভ্যাস অন্য প্রান্তে থাকা ব্যাটারের জন্য বিরাট এক চাপ। ১২০ বলের খেলা টানা ছয়টি বল ডট খেলা মানেই বিপদ ডেকে আনা। প্রথমে উইকেটে এসে সময় নেবার পর দ্রুত রান তোলা কিংবা রান রেটের চাপে বারবার ভুল শট খেলে আউট হচ্ছেন রাহুল।

এমনিতেও সাম্প্রতিককালে টি-টোয়েন্টিতে রাহুলের স্ট্রাইকরেট নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। সাবেক ইংলিশ ব্যাটার কেভিন পিটারসন তো বলেই দিয়েছেন, পাওয়ার প্লে তে রাহুলের ব্যাটিং দেখাটা বিরক্তিকর। ধুম-ধুমার টি-টোয়েন্টির এই যুগে একটু বেশি ডট বল খেলাই যেখানে অপরাধ হিসেবে দেখা হয়, সেখানে রাহুলের এমন মেইডেন ওভার খেলাটা দলের অন্যান্য ব্যাটারদের ওপর চাপ বাড়ায় প্রবল পরিমাণে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link