আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে ভারতের সকল চিন্তা জুড়ে যেন মিডল অর্ডার। ইনজুরির কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে রয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুল। আর এতেই মিডল অর্ডার নিয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে টিম ইন্ডিয়া।
যদিও সামনে এশিয়া কাপ দিয়ে এ দুই ব্যাটারে ফেরার কথা রয়েছে, বলে গুঞ্জন আছে। তবে ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী আপাতত এ দুই ব্যাটারের কাউকেই একাদশে দেখতে চান না।
তাঁর মতে, চোট থেকে ফিরে এসেই একাদশে নামিয়ে দেওয়াটা ঠিক না। এর চেয়ে বরং যারা এতদিন খেলেছে, তাদেরকে নিয়ে দলের রণকৌশল সাজানো উচিৎ।
এ নিয়ে স্টার স্পোর্টসের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে রবি শাস্ত্রী বলেন, ‘দেখুন, কোনো সন্দেহ নেই যে, তাঁরা অসাধারণ ব্যাটার। কিন্তু দীর্ঘ সময় পর এসেই তাদের খেলিয়ে দেওয়াটা বাড়াবাড়ি। ওদেরকে অবশ্যই ফেরানো যাবে। তবে একটা প্রসেসের মধ্যে দিয়ে আনা উচিৎ। সে ক্ষেত্রে এশিয়া কাপের আগে অন্তত কিছু ম্যাচে পরখ করে নেওয়া যেতে পারে।’
ভারতের সাবেক এ কোচ অবশ্য এ দুই ব্যাটারের জায়গায় তিলক ভার্মাকে একাদশে দেখতে চান। তিনি বলেন, ‘এখানে আসলে একজন নির্বাচকের ভূমিকা রাখতে হয়। তাদের বুঝতে হবে, বর্তমানে এই পজিশনের জন্য কে ফেবারিট। যদি তিলক ভার্মা ফেভারিট হয় তাহলে তাকে নিয়ে আসা উচিৎ। যদি জয়সওয়ালকে তাঁরা মনে করে, তাহলে তাঁকে দিয়ে মিডল অর্ডারে খেলানো যেতে পারে। আবার ঈশান কিষাণও গত প্রায় ৮ মাস ধরে দলের সাথে আছে। তাই তাঁকেও উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় রাখা যায়। সব মিলিয়ে মিডল অর্ডারে ৩ জন বাঁহাতি থাকতেই পারে। মূল কথা হলো, এত দিন যাদের নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে তাদেরই খেলানো উচিৎ।’
এরপর ২০১৯ বিশ্বকাপের কথা টেনে রবি শাস্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঐ বার কিন্তু ভালই খেলেছিলাম। সেমিতে বাদ পড়েছিলাম। আসলে সেবার আমাদের এমন বাদ পড়ার পিছনে ছিল শিখর ধাওয়ানের অনুপস্থিতি। কারণ কিউই পেসার সেদিন ডানহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে অনায়াসে সুইং করাতে পারছিল। আমার মনে ধাওয়ান থাকলে এমনটি নাও হতে পারতো। যেহেতু লক্ষ্য গণ্ডিড মধ্যেই ছিল। শুরুটা ভাল হলে হয়তো ফলটা অন্যরকম হতে পারত।’
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। যদিও মহাদেশীয় এ টুর্নামেন্টে ভারত তাদের যাত্রা শুরু করবে ২ সেপ্টেম্বর, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।