নামের রঙে রঙিন

ক্রিকেট ইতিহাসে এমন অনেক ক্রিকেটারই এসেছেন যারা একই বংশের। আবার অনেক ক্রিকেটারের নাম অদ্ভুতভাবে মিলে যায় বিভিন্ন পেশা কিংবা কর্মের সাথে। তেমনি বেশ কিছু ক্রিকেটার আছেন যাদের নামকরণ করা হয়েছে কোনো রঙের নামের সাথে মিল রেখে। ক্রিকেট ইতিহাসে এমন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আছেন।

‘নামে কি আসে যায়’ যতই বলা হোক না, নামে আসলেই অনেক কিছু আসে যায়। সেটা ক্রিকেটারদের জন্য আরো বেশি প্রযোজ্য।

ক্রিকেট ইতিহাসে এমন অনেক ক্রিকেটারই এসেছেন যারা একই বংশের। আবার অনেক ক্রিকেটারের নাম অদ্ভুতভাবে মিলে যায় বিভিন্ন পেশা কিংবা কর্মের সাথে। তেমনি বেশ কিছু ক্রিকেটার আছেন যাদের নামকরণ করা হয়েছে কোনো রঙের নামের সাথে মিল রেখে। ক্রিকেট ইতিহাসে এমন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আছেন।

  • ক্যামেরন হোয়াইট (অস্ট্রেলিয়া)

একজন লেগ স্পিনার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও অস্ট্রেলিয়া দলে মূলত ব্যাটার হিসেবেই খেলেছেন ক্যামেরন হোয়াইট। তার নামের শেষে হোয়াইট বা সাদা যা একটি রঙের নাম। নিজের প্রতিভার সবটা দেখাতে না পারলেও অজিদের হয়ে হোয়াইট খেলেছেন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। বিগ ব্যাশ এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও ডেকান চার্জারসের হয়ে তিনি খেলেছেন।

  • ক্যামেরন গ্রিন (অস্ট্রেলিয়া)

ঘরোয়া ক্রিকেটে নজরকাঁড়া পারফরম্যান্স দিয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নেন তরুন ক্যামেরন গ্রিন। ২০২০ সালের শেষদিকে টেস্ট দিয়েই জাতীয় দলে অভিষেক। এখন পর্যন্ত দুর্দান্ত কোনো পারফরম্যান্স না দেখাতে পারলেও সাদা পোশাকে মোটামুটি দলের সাথেই আছেন।

লম্বা সময় ধরেই টেস্টে পেস অলরাউন্ডারের অভাব অজি দলে। ক্যামেরন গ্রিনের হাত ধরেই এই অভাব ঘুচাতে চাইছে অজি ক্রিকেট। গ্রিন বা সবুজ রঙের নাম হওয়ায় এই তালিকায় সহজেই জায়গা পেয়েছেন তিনি।

  • প্যাট ব্রাউন (ইংল্যান্ড)

২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকের পর মাত্র ৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ইংলিশ পেসার প্যাট ব্রাউন। ২০১৮ টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে দুর্দান্ত পারফরম করে তাঁর দল উস্টারশায়ারকে শিরোপা জেতান এই বোলার।

ডেথ ওভারে কাটার এবং স্লোয়ার ডেলিভারি দিয়ে নজর কাড়লেও জাতীয় দলে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি তিনি। ৪ ম্যাচে ৯.৮৪ ইকোনমিতে মাত্র ৩ উইকেট শিকার করেন এই পেসার।

  • টনি গ্রে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

সারনেম রঙের নামে এমন আরেক ক্রিকেটার হলেন টনি গ্রে। মজার ছলে টনি ধূসরও বলতে পারেন! ইনজুরি আর প্রতিযোগিতার ভীড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লম্বা সময় টিকতে পারেননি টনি।

মাত্র ৫ টেস্ট আর ২৫ ওয়ানডেতেই সাবেক এই ক্যারিবিয়ান পেসারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১২২ ম্যাচে ৪৫১ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।

  • মারলন ব্ল্যাক (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

সাবেক ক্যারিবিয়ান পেসার মারলন ব্ল্যাক ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে পাঁচ ওয়ানডে আর ছয়টি টেস্ট খেলেছেন। ছয় টেস্টে শিকার করেছেন ১২ উইকেট। তবে ওয়ানডেতে নিজের নামের পাশে কোনো উইকেটই যোগ করতে পারেননি তিনি।

  • ফারজানা হক পিংকি (বাংলাদেশ)

এশিয়ার ক্রিকেটারদের মধ্যে এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশি টপ অর্ডার ব্যাটার ফারজানা হন পিংকি। নারী ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে ৪১ ওয়ানডেতে ২৪ গড়ে করেছেন ৮৪১ রান। অপরদিকে ৬৮ টি-টোয়েন্টিতে ১৮ গড়ে ৯৯৮ রান করেছেন তিনি।

তালিকাটা আসলে এখানেই শেষ নয়। এর বাদেও ডার্সি ব্রাউন,ডগি ব্রাউন,  ইভা গ্রে, বেন ব্রাউন, টনি হোয়াইট, বেন হোয়াইট কিংবা সবুজ বর্মন বা লালচাঁদ রাজপুত নাম নিয়েও অনেককেই ক্রিকেট খেলতে দেখা গেছে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...