আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪৭ রানের বিশাল জয়ের পর এখন ভারতের সবটুকু মনোযোগ বাংলাদেশ ম্যাচের উপর। সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে চাইলে এই ম্যাচে জয়ের কোন বিকল্প নেই। এর আগে অবশ্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে দুই ওপেনার রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলির ফর্ম; টুর্নামেন্ট জুড়ে কেবল ব্যর্থতার গল্প লিখছেন তাঁরা।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোতে বাজে পিচের অজুহাত দেয়া গেলেও আফগানদের বিপক্ষে যা হয়েছে সেটা সত্যিই ভাবনায় ফেলেছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ডানহাতি নতুন বলে রীতিমতো সংগ্রাম করেছেন; বাউন্ডারি মারা তো দূরে থাক, ঠিকঠাক টাইমিং করতেই পারছিলেন না তাঁরা – জল ছাড়া মাছের মতই খাবি খেয়েছিলেন!
শুরুতে তাই মনে হয়েছিল এবারও বোধহয় বোলিং উইকেটে খেলা হচ্ছে, কিন্তু সময় গড়াতেই সেই ভুল ভেঙেছে। ঋষাভ পান্ত, সুরিয়াকুমার যাদব কিংবা শেষদিকে হার্দিক পান্ডিয়া যেভাবে খেলেছেন তাতে ব্রিজটাউনের উইকেটকে কিছুতেই বধ্যভূমি বলা যায় না।
অধিনায়ক নিজে আউট হওয়ার আগে তেরো বল খেলেছেন, স্ট্রাইক রোটেটের পরিবর্তে বারবার বিগ হিট করতে চেয়েছেন। ফলাফল, ডট বলের চাপে উইকেট দিয়ে এসেছেন। তাঁর ওপেনিং সঙ্গী অবশ্য উল্টো কাজ করেছেন, বাউন্ডারির কোন চেষ্টাই করেননি। বিশ বলের বেশি খেলার পরেও স্ট্রাইক রেট ১০০ পার করতে পারেননি তিনি।
সত্যি বলতে, দুই তারকা প্যাভিলিয়নে ফেরার পরেই খেলায় গতি ফিরে এসেছিল। মিডল অর্ডার ব্যাটাররা সাবলীলভাবেই ব্যাট করেছেন; কিন্তু টপ অর্ডার প্রতিনিয়ত ব্যর্থ হলে একটা সময় আটকা পড়বেই টিম ইন্ডিয়া। কেননা সব ম্যাচে সুরিয়া বা পান্ডিয়া-পান্ত রান করতে পারবে না।
রোহিত তো ওপেনিংয়ে থাকবেনই, তবে যশস্বী জয়সওয়ালের পরিবর্তে বিরাটকে ওপেনিংয়ে খেলানো ভুল সিদ্ধান্ত ছিল সেটা এখন স্পষ্ট। এই ভুলের বড় কোন মাশুল দেয়ার আগেই তাই শুধরে নেয়া উচিত! আপাতত দেখার বিষয় নকআউট পর্বে ওঠার আগে ভারত তাঁদের পরিকল্পনায় কতটা বদল আনে।