শেষ দু’টি ম্যাচে তাঁর দু’টি সেঞ্চুরি। তবে, সমস্যা অন্য জায়গায়। সেটা হল স্ট্রাইক রেট। আর সেজন্যই তো দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুুরু পৌঁছাতে পারেনি শেষ চারে। তাই, টি-টোয়েন্টিতে বিরাট কোহলির ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
কোহলি নিজে অবশ্য নির্বিকার। আইপিএলে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক এখন কোহলি। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে থাকায় টি-টোয়েন্টিতে এখনও ফুরিয়ে যাননি বলেই মনে করছেন এ তারকা ব্যাটার।
নতুনদের সুযোগ দিতে বিশ্রামের অজুহাতে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে উপেক্ষিত কোহলি। ২০২২ সালের বিশ্বকাপের পর ভারতের হয়ে আর টি-টোয়েন্টিতে খেলেননি তিনি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত গত বিশ্বকাপে ৬ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৯৬ রান করেছিলেন কোহলি।
গুজরাটের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষ হবার পর ধারাভাষ্যকারদের প্রশ্নের জবাবে কোহলি বলেন, ‘অনেক মানুষ মনে করেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমি ফুরিয়ে গেছি। আমার সেটা একেবারেই মনে হয় না। আমি মনে করি, আমি আবারও টি-টোয়েন্টিতে নিজকে প্রমান করেছি। নিজের খেলাটাও বেশ উপভোগ করছি। এজন্যই আমি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলছি।’
এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে ৬৩৯ রান করেছেন কোহলি। এই নিয়ে তৃতীয়বারের মত এক মৌসুমে ছয়শ রান করলেন কোহলি। এর আগে ২০১৩ সালে ১৬ ম্যাচে ৬৩৪ রান এবং ২০১৬ সালে ১৬ ম্যাচে ৯৭৩ রান করেছেন কোহলি।
গুজরাটের বিপক্ষে ওপেনার হিসেবে নেমে ১৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬১ বলে অপরাজিত ১০০ রান করেন কোহলি। তারপরও গুজরাটের কাছে ৬ উইকেটে ম্যাচ হেরে লিগ পর্ব থেকে আইপিএল শেষ করলো ব্যাঙ্গালুরু।
নিজের ইনিংস নিয়ে কোহলি বলেন, ‘ফিল্ডারদের মাঝে ফাঁক খুঁজে রান নিচ্ছি এবং বড় শটও মারছি। আমি মনে করি, দলের যে কোনও পরিস্থিতি ভালোভাবে বুঝতে হবে তারপর খেলতে হবে। এটি দারুণভাবে করতে পারায় অবশ্যই আমি গর্বিত। অনেক দিন ধরেই এটা করে চলেছি।’
গুজরাটের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের সাথে সেঞ্চুরি করেন কোহলি। তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আইপিএলে পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির নজির গড়েন কোহলি। তার আগে ২০২০ সালে শিখর ধাওয়ান ও ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের জশ বাটলার পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন।