কোহলি-রোহিত বন্ধন অটুট!

ভারতীয় ক্রিকেট অঙ্গন ভরে উঠেছে গুঞ্জনের কোলাহলে। আজ এই গুঞ্জন তো কাল অন্য আরেক। এসব কিছুই ঘটছে জাতীয় দলের অধিনায়কের পদ রদবদলের পর থেকে। আগে থেকেই কিছু কথার ক্ষীণ প্রতিধ্বনি শোনা যেত, মানুষ তা বিশ্বাস করতে ছিল বড্ড নারাজ। রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলির সম্পর্কে ধরেছে ভাঙ্গন। এমন কথা হরহামেশাই শোনা যেতো। তবে যখন থেকেই রোহিতে কাঁধে তুলে দেওয়া হলো জাতীয় দলের সাদা বলের দায়িত্ব ঠিক তখন থেকেই যেন আরো প্রকোপ হয়ে বিস্তার ঘটে সেই গুঞ্জন।

ভারতীয় ক্রিকেট অঙ্গন ভরে উঠেছে গুঞ্জনের কোলাহলে। আজ এই গুঞ্জন তো কাল অন্য আরেক। এসব কিছুই ঘটছে জাতীয় দলের অধিনায়কের পদ রদবদলের পর থেকে। আগে থেকেই কিছু কথার ক্ষীণ প্রতিধ্বনি শোনা যেত, মানুষ তা বিশ্বাস করতে ছিল বড্ড নারাজ।

রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলির সম্পর্কে ধরেছে ভাঙন। এমন কথা হরহামেশাই শোনা যেতো। তবে যখন থেকেই রোহিতে কাঁধে তুলে দেওয়া হলো জাতীয় দলের সাদা বলের দায়িত্ব ঠিক তখন থেকেই যেন আরো প্রকোপ হয়ে বিস্তার ঘটে সেই গুঞ্জন।

আর গুঞ্জনের বিস্তার বাড়িয়ে দেয় বিরাট কোহলি আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে খেলতে না চাওয়ার কিংবা না খেলার এক উড়ো কথা। ব্যাস! শুরু হয়ে গেলো নানানরকম যুক্তিতর্ক। মূল্যায়ন হতে শুরু করা হলো দলের এই গুরুত্বপূর্ণ দুই খেলোয়াড়ের সম্পর্ক। তবে এ বিষয়ে বিরাট কোহলির মত খানিক ভিন্ন। তিনি রীতিমত অস্বীকার করে বলেছেন যে তাঁর আর রোহিতের সম্পর্কে ধরেনি ভাঙ্গন।

এ বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার পূর্বে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে কোহলি বলেন, ‘আমার আর রোহিতের সম্পর্কে কোন ফাঁটল ধরেনি। আমি এই একটি কথাই বিগত আড়াই বছর ধরে বেশ কয়েকবার পরিষ্কার করে বলেছি। তাছাড়া আমি আপনাদেরকে আশ্বাস দিতে পারি আমি যতদিন ক্রিকেট খেলছি আমার জন্যে দল কখনো বেগতিক পরিস্থিতিতে পড়বে না।’

ভারতের ক্রিকেটে পদের পালাবদল শুরু হয়েছে এ বছরে শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে। পুরনো কোচ ছেড়েছেন পদ, এসেছেন নতুন অতিথি। সাদা বলের ক্রিকেটের অধিনায়ক বদলেছে, লাল বলের ক্রিকেট রয়েছে যথারীতি।

পরিবর্তন তো পৃথিবীর চিরায়ত নিয়ম। রাত ঘনিয়ে ভোর হয়, গ্রীষ্ম শেষে বর্ষা আসে। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটে এই সমালোচনা কিংবা আলোচনার প্রধান কারণ কোহলির ২০২৩ অবধি ওয়ানডে ক্রিকেটের অধিনায়কের পদে থেকে যাওয়ার ইচ্ছে।

তবে সাদা বলের ক্রিকেটে ভিন্ন দুই অধিনায়ক রাখতে ইতস্তত বোধ করা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাই কোহলির ইচ্ছের বিরুদ্ধেই রোহিতের হাতে তুলে দেন ওয়ানডে অধিনায়কের ব্যাটন। তাঁর উপর রোহিতের প্রথম অধিনায়কত্বের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঘরের মাঠে খেলেননি কোহলি, খেলবেন না দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও।

তাতে যে কারো মনে জাগতে পারে সন্দেহ। বলা হচ্ছিলো ব্যক্তিগত কারণে ছুটির আবেদন করেছিলেন কোহলি। তা মঞ্জুরও করেছে বিসিসিআই।

কিন্তু এ বিষয়ে নিজের অবস্থান খোলাসা করে কোহলি বলেছেন, ‘আমি খেলার জন্যে পূর্বেও প্রস্তুত ছিলাম এখনও আছি। আমি কখনোই বিসিসিআই- এর সাথে আমার বিশ্রামের বিষয়ে কথা বলিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্যে প্রস্তুত আছি এবং আমি সবসময় প্রস্তুত থাকি।’

অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজে খেলবেন না রোহিত শর্মা। তিনি অবশ্য ছুটিছাটা কিছু চাননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দলেও ছিলেন তিনি। প্রস্তুতি গ্রহণকালে ইনজুরি আক্রন্ত হয়েছেন তিনি। সেই ইনজুরি থেকে সেড়ে উঠতে কেটে যাবে পুরো তিনটি টেস্ট ম্যাচ। তাঁর বদলে দলে জায়গা করে নিয়েছেন নবাগত প্রিয়াঙ্ক পাঞ্জাল।

এমন ধোঁয়াশার পরিস্থিতি হয়ত অচিরেই কেটে যাবে ভারতীয় ক্রিকেট অঙ্গন থেকে। পরিবর্তনের সাথে তাল মেলাতে একটু তো সময় লেগেই যায়। এই যে যেমন শীত এলো আর সর্দি-কাশির সাথে অনেকের পুরনো রোগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...