খুলনা টাইগার্সের জয় রথ চলছেই, শক্তিশালী রংপুর রাইডার্সও পারলো না দলটির জয়ের ধারাবাহিকতায় ছেদ টানতে। মোহাম্মদ নওয়াজ আর দাসুন শানাকার অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যে ২৮ রানে জিতেছে এনামুল হক বিজয়রা। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বরে তাঁদের অবস্থান আরো সুসংহত হলো।
আগে ব্যাট করতে নেমে খুলনার শুরুটা অবশ্য ভাল হয়নি। দ্বিতীয় ওভারেই ইনফর্ম বিজয়কে হারায় তাঁরা; মাহমুদুল হাসান জয়, আফিফ হোসেনরা ব্যাটিং অর্ডারের উপরের দিকে সুফল পেয়েও কিছু করতে পারেননি। তবে এভিন লুইস আগের ম্যাচের মতই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন, যদিও তাঁকে ব্যক্তিগত ৩৭ রানে থামিয়ে দেন হাসান মাহমুদ।
৬৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত দলের হাল ধরেন দুই বিদেশি নওয়াজ আর শানাকা। দুজন প্রথমদিকে ধৈর্যের প্রমাণ দিয়েছিলেন, এরপর ঝড় তুলেছেন প্রতিপক্ষের বোলিং লাইনআপের উপর। তাঁদের এমন হিসেবী ব্যাটিংয়ে মাত্র ৫৩ বলেই ৭৭ রান যোগ হয়েছিল স্কোরবোর্ডে।
শেষপর্যন্ত পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার দুই অলরাউন্ডার আউট হন যথাক্রমে ৫৫ এবং ৪০ রানে। ততক্ষণে অবশ্য লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে গিয়েছে টিম টাইগার্স; নির্ধারিত বিশ ওভারে ১৬০ রান করতে সক্ষম হয় তাঁরা।
জবাবে রংপুরের প্রয়োজন ছিল উড়ন্ত সূচনা, কিন্তু নাহিদুল ইসলাম, ওয়াসিম জুনিয়র সেটা হতে দিলেন কই। তাঁদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে হাসফাস করে দুই রানের মাথায় উইকেট দিয়ে এসেছেন বাবর আজম। টানা দুই ম্যাচে দুইবার শূন্য রানে আউট হওয়া ব্রেন্ডন কিং এদিন এক রান করে সাজঘরে ফিরেছেন নওয়াজের বলে।
শামীম হোসেন, রনি তালুকদার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন বটে। যদিও সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় শানাকা, নওয়াজদের বোলিং জাদুতে। গত ম্যাচের জয়ের নায়ক আজমতউল্লাহ, সাকিব, সোহানরা তখনো ক্রিজে ছিলেন, স্বপ্ন তাই ছিল রাইডার্স ভক্তদের চোখে। কিন্তু সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায় দেখতে দেখতে। এই তিনজনের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
৮০ রানে সাত উইকেটের পতন ঘটলে ফলাফল অনেকটাই নির্ধারণ হয়ে যায়, মোহাম্মদ নবী অবশ্য আত্মসমর্পণ করতে নারাজ। লড়াকু সৈনিকের মতই একাই যুদ্ধ করেন তিনি, মাত্র ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন এই আফগান। যদিও শেষমেশ লক্ষ্য থেকে ২৮ রান দূরে থাকতে থেমে যেতে হয় তাঁকে।