অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে নেপালের বিশ্বকাপ দলে ফিরেছেন সন্দীপ লামিছানে। গ্রুপ পর্বে নিজেরদের তৃতীয় ম্যাচে নেপালের হয়ে মাঠে নামেন এই স্পিনার। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে পেয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল নেপাল।
বিশ্বকাপ দলে যোগদানের জন্য বেশ বেগ পেতে হয়েছে লামিছানেকে। গত বছর তাঁর বিরুদ্ধে এসেছিল ধর্ষনের অভিযোগ। তবে কিছুদিন আগে সব অভিযোগ থেকে তাকে মুক্তি দেয় আদালত। তবুও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খেলতে পারবেন কি না তা নিয়ে ছিল সংশয়।
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তাঁর ভিসার আবেদন বাতিল করে দিলে, এমন সংশয়ের উদয় ঘটে। ফলে বিশ্বকাপ দলে থেকেও যোগদান করতে পারছিলেন না লামিছানে।
তবে বাধা বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচের জন্য তাকে দলে পেয়েছে নেপাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত এই দুই ম্যাচ খেলতে দলে যোগদান করেন তিনি। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে শুরুর একাদশে দেখা মিলল তার।
বিশ্বের বিভিন্ন নামিদামী টি-টোয়েন্টি লীগগুলোতে খেলেছেন লামিছানে। নেপালের অন্যতম সেরা লেগ স্পিনার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শুরুটা করেছিলেন দারুণভাবেই।
পাওয়ার প্লে শেষ হতেই নেপালের অধিনায়ক রোহিত পাউডেল বোলিংয়ে নিয়ে আসেন লামিছানেকে। প্রথম ওভারেই তার ঘূর্ণিতে পরাস্ত করেন প্রোটিয়া ব্যাটারদের। কোনো উইকেট না পেলেও, মাত্র ২ রান আসে তাঁর করা সেই ওভার থেকে। পরের ওভারেও তিনি তার মিতব্যয়ী বোলিং চালিয়ে যান। তাঁর উপর চড়াও হতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটাররা। তাঁর দ্বিতীয় ওভারেও ২ রানের বেশি নিতে সক্ষম হয়নি তারা।
ইনিংসের ১৩তম ওভারে আবারও বোলিংয়ে ফেরেন লামিছানে। দ্বিতীয় বলেই উইকেটের সম্ভাবনা দেখালেও ফিল্ডারের গাফিলতির কারণে উইকেট পাওয়া হয়নি তাঁর। মাত্র ১ রানে থাকা বিধ্বংসী ব্যাটার ক্লাসেনের ক্যাচ ছাড়েন সোমপাল কামি। তাই ওভারে মাত্র ৪ রান দিলেও উইকেট শূন্য থাকতে হয় তাকে।
নিজের শেষ ওভারে এসে বাউন্ডারি হজম করেন লামিছানে। ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রোটিয়া ব্যাটার ট্রিস্টেন স্ট্যাবসের ব্যাট থেকে আসে সে বাউন্ডারি। চার ওভার বোলিং করে ১৮ রানের বিনিময়ে কোনো উইকেট নিতে পারেননি লামিছানে।
নিজেদের সেরা বোলারের কাছে নেপালের প্রত্যাশা ছিল আরেকটু বেশি। হয়তো প্রত্যাশার পূর্ণ প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। তবে একেবারেই যে ব্যর্থ হয়েছেন লামিছানে, তাও বলা যাবে না।