লিওনেল মেসি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিমায় দুই পায়ের জাদুতে বোকা বানালেন পেরুর ডিফেন্স লাইনকে; চোখের পলকে ডি বক্সে ঢুকে খানিকটা স্পেস তৈরি করে ক্রস করলেন সতীর্থ লাউতারো মার্টিনেজের উদ্দেশ্যে। এতটুকু পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল; কিন্তু এরপর যা ঘটলো সেটা অবিশ্বাস্য!
নিজের শরীর শূন্যে ছুঁড়ে দিয়ে একটা অ্যাক্রোবেটিক শট নিলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। দর্শক তো বটেই, পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো গালেসের অবাক চোখে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না।
কি জানি, হয়তো দিন দুয়েক আগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বাইসাইকেল কিকে গোল করার দৃশ্যটা মাথায় গেঁথে রেখেছিলেন লাউতারো। তাই তো সুযোগ পেয়ে আর হাতছাড়া করেননি – আর তাঁর বাইসাইকেল কিকেই সুবাদেই ১-০ গোলের জয় পেলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ঘরের মাঠে পেরুর বিপক্ষে বড় জয় পাবে মেসির দল, এমনটাই তো প্রত্যাশিত। কিন্তু আগের ম্যাচের পরাজয় কিংবা পেরুর সুসংহত রক্ষণ – কারণ যাই হোক, একেবারেই সুবিধা করে উঠতে পারেনি স্বাগতিক ফরোয়ার্ড লাইন। পুরো প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ এসেছিল কেবল দু’বার; একবার লাউতারো মার্টিনেজই বল মেরেছেন গোলবারে, আরেকবার তো ম্যাক অ্যালিস্টার ঠিকঠাক হেডারই নিতে পারলেন না।
দ্বিতীয়ার্ধের গল্পটাও প্রায় একই, মেসি-মার্টিনেজের বিস্ময়কর কিছু মুহূর্ত বাদ দিলে পুরোটা সময় আর্জেন্টিনা আটকে গিয়েছিল সফরকারীদের দুর্দান্ত রক্ষণ পরিকল্পনার কাছে। ৭৪ ভাগ বল দখলে রেখেও মাত্র তিনটা শট অন টার্গেট কিংবা দুইটা কর্নার সেটারই সাক্ষ্য দেয়।
অধিনায়ক মেসি অবশ্য চেষ্টা করেছেন বাড়তি কিছু করার; সাতটা ডুয়েল জিতেছিলেন, ড্রিবলিংয়ে বোকা বানিয়েছেন ডিফেন্ডারদের। তিন তিনবার গোলের সুযোগও তৈরি করেছিলেন তিনি, কিন্তু একটা অ্যাসিস্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো তাঁকে।
অবশ্য এতটুকুই যথেষ্ট হয়েছে আর্জেন্টিনার জয়ের জন্য, ব্যবধানটা মন মতো না হলেও আগের ম্যাচের পরাজয়ের পর এমন ফলাফল নিঃসন্দেহে স্বস্তির। আর এর মধ্য দিয়ে নিন্দুকদের জবাব তো দিয়েছেই তাঁরা, সেই সাথে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের শীর্ষস্থান আরো মজবুত করলো তাঁরা