টাইমড আউট নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। কেউ সাকিবের পক্ষ নিচ্ছেন। কেউবা আবার ক্রিকেটীয় চেতনার কথা বলে সাকিবের মুণ্ডুপাতও করছেন। তবে টাইমড আউট ঘটনায় সাকিবের এমন আচরণে ভুল কিছু দেখছেন না ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগল। তাঁর মতে, নিয়ম অনুযায়ী অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস আউট ছিলেন। এতে কোনো ভুল নেই। আর এমন বিরল আউট নিয়ে ক্রিকেটীয় চেতনা দাঁড় করানোরও কোনো যুক্তি নেই।
এ নিয়ে আজ টুইটার ও ফেসবুক, দুই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন হার্শা ভোগলে। সেখানে ‘ম্যাথুস-সাকিব ইস্যুতে আমার ভাবনা’ – শিরোনামে তিনি লিখেন, ‘আপনাকে আম্পায়ারদের ওপর ভরসা রাখতে হবে। তাঁরা যদি বলেন যে দুই মিনিট অতিবাহিত হয়েছে, তাহলে মেনে নিতে হবে। কারণ, তাঁরা অনেক অভিজ্ঞ এবং বেশ ভালো আম্পায়ার। তাঁদের দিক থেকে এ ধরনের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম। দ্বিতীয়ত, আইনের অজ্ঞতা থাকলে আত্মপক্ষ সমর্থন করা যায় না। যেহেতু এই আউটের আইন আছে। আর আপনি তা লঙ্ঘন করেছেন। এর অর্থ এমন আউট হওয়ার পর আত্মপক্ষ সমর্থন করার মতো অবস্থায় আপনি নেই।’
এ পর্যায়ে সাকিবের আপিল নিয়ে হার্শা লিখেন, ‘ঐ আউটের আবেদন করার অধিকার সাকিবের ছিল। তার আবেদন জানানো উচিত ছিল কি ছিল না, সেই সিদ্ধান্ত আমাদের নয়। এটা তাঁর সিদ্ধান্ত, তিনি এভাবেই খেলতে চান। এটি নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কিছু নেই।’
হেলমেট বদলানোর ক্ষেত্রে ম্যাথুসের সচেতনতার অভাবও দেখেন হার্শা। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ম্যাথুস হেলমেট পরিবর্তনের সময় প্রতিপক্ষে ফিল্ডারদের কিছুই বলেনি। সচেতন ব্যাটাররা কিন্তু এই ব্যাপারগুলো ঠিক রাখেন। আমি নিশ্চিত, ম্যাথুস যদি জিজ্ঞেস করে নিতেন, তিনি তাঁর হেলমেট বদলাতে পারে কিনা, তাহলে বাংলাদেশ থেকে কোনো আউটের আবেদন হতো না।’
ম্যাথুসের আউট নিয়ে চলমান ক্রিকেটীয় চেতনা নিয়েও টুইটারে রীতিমত বিরক্তি প্রকাশ করেছেন হার্শা। সেখানে তিনি এই বিষয়টি উল্লেখ করে লিখেন, ‘ক্রিকেটীয় চেতনার বিষয়টি ছেড়ে দিন। এটি ফালতু যুক্তি। যারা এটা সম্পর্কে ঠিক জানে না, তারা প্রায়ই এই যুক্তি তুলে ধরে। আইন আছে এবং আপনি আইনের মধ্যে থেকেই খেলছেন। তা ছাড়া কেউ কীভাবে খেলবে, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। টাইমড আউডে ম্যাথুস কিংবা শ্রীলঙ্কার সমর্থকরা হতাশ হতে পারেন। তাদের ক্ষুব্ধতাও থাকতে পারেন কিন্তু খেলার নিয়ম অনুযায়ী তিনি আউট ছিলেন।’