বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে উত্থান ঘটেছিল রবার্ট লেওয়ানডস্কির। তবে তিনি লেওয়ানগোলস্কি হয়ে উঠেছেন বায়ার্ন মিউনিখে আসার পর, হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে। পুরনো গুরুকে বার্সেলোনার ডাগআউটে পেয়ে তাই বোধহয় বিধ্বংসী রূপে আবির্ভূত হলেন তিনি, ব্লাউগানা জার্সিতে রীতিমতো অগ্নুৎপাত ঘটাচ্ছেন। যার উত্তাপে সবশেষ পুড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
বহুল আকাঙ্ক্ষিত এল ক্ল্যাসিকোর ভাগ্য একা হাতে লিখে দিয়েছেন এই স্ট্রাইকার। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দুই দল যখন একে অপরের পরিকল্পনা বোঝার অপেক্ষায় ঠিক তখনই তিনি লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষণ। ৫৪ মিনিটের সময় মার্ক ক্যাসাদোর পাস থেকে আদায় করেছিলেন প্রথম গোল; সেটাও আবার ডি বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়ে।
মিনিট দুয়েকের ব্যবধানে আবারো গোল এই পোলিশ তারকার, এবার ট্র্যাডিশনাল নাম্বার নাইনের মত লাফিয়ে উঠে মাপা হেডার জালে জড়িয়েছেন তিনি। চোখের পলকে তাঁর জোড়া আঘাত হজম করার পর লস ব্ল্যাঙ্কোসরা আসলে মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়েছিল।
এই ম্যাচের মতন চলতি লা লিগাতেও লেওয়ানডস্কির দেখা মিলছে অতিমানবীয় রূপে। এখন পর্যন্ত এগারো ম্যাচ খেলে ১৪ গোল করেছেন তিনি; স্বাভাবিক মনে হচ্ছে আপনার? লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা আয়োজি পেরেজ স্রেফ সাত গোল করেছেন, তাঁর গোলসংখ্যার চেয়ে অর্ধেক – উত্তরটা বোধহয় পেয়ে গিয়েছেন।
হ্যান্স ফ্লিকের আগমনের পর থেকেই আসলে ফর্মে দারুণ উন্নতি ঘটেছে এই ফরোয়ার্ডের। এর পিছনে মূল কারণ ফ্লিকের ট্যাকটিক্স। বার্সার স্বভাবসুলভ টিকিটাকা বা পাসিং ফুটবলে তাঁকে অনেক নিচে নেমে আসতে হতো, এরপর আবার দ্রুত উপরে উঠে গোলের চেষ্টা করা কঠিন ছিল পর্যাপ্ত গতি না থাকার কারণে।
কিন্তু এখন কাতালান জায়ান্টরা খেলছে কুইক কাউন্টার ট্যাকটিক্সে, বল ক্যারি করার দায়িত্ব পালন করছেন দুই স্পিডি উইঙ্গার রাফিনহা এবং লামিন ইয়ামাল। এছাড়া মিডফিল্ডে ফাস্ট ফরোয়ার্ড পাসিং অনুসরণ করায় ডি বক্সের আশেপাশে বল পেয়ে যান এই নাম্বার নাইন – যদিও ভূরি ভূরি গোলের কৃতিত্ব তাঁকে দিতেই হবে, এবারের আসরে ইতোমধ্যে সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ১৭ গোল করেছেন তিনি, মোটেই সাধারণ কিছু না।