বিকল্প অল্প, শান্তর বদলে লিটন সম্বল

এরপরই মূলত আলোচনার সূত্রপাত। শান্তর শূন্যস্থানে আসবে কে? 

আবারও সরগরম বাংলাদেশের ক্রিকেট মহল। হুট করেই শোনা যাচ্ছে পদত্যাগের আবেদন করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান তিনি। এরপরই মূলত আলোচনার সূত্রপাত। শান্তর শূন্যস্থানে আসবে কে?

এই প্রশ্নের সহজ একটা সমাধান হয়ে সামনে ধরা দেবেন, মেহেদী হাসান মিরাজ। যুব দল থেকেই অধিনায়কত্বের জন্য তিনি বিবেচিত হয়ে আসছেন বটে। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতেও দারুণ সময় পার করছেন তিনি। কিন্তু তিনি অধিনায়ক হলে দুই অধিনায়কের পথে হাঁটতে হবে বাংলাদেশকে।

কেননা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মিরাজের পায়ের নিচের মাটি শক্ত নয়। একাদশে সুযোগ পাওয়া যার দোদুল্যমান, তিনি অধিনায়ক বনে গেলে তা দলের জন্য ক্ষতি বয়ে নিয়ে আসতে পারে। এই দিক বিবেচনায় টেস্ট ও ওয়ানডের অধিনায়ক করা হতে পারে মিরাজকে। তখন আবার টি-টোয়েন্টিতে ভিন্ন এক অধিনায়কের প্রয়োজন হবে বাংলাদেশের।

টি-টোয়েন্টি দলের তারুণ্যের ছড়াছড়ি। তাছাড়া বাংলাদেশের পরীক্ষা-নিরীক্ষারও শেষ নেই। থিতু আছেন স্রেফ তাওহীদ হৃদয়। এই মুহূর্তে তাকে শর্টার ফরম্যাটের অধিনায়ক হয়ত করতে চাইতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু মিরাজ ও হৃদয়ের ক্ষেত্রে একটা বিষয় ঘটতে পারে। অধিনায়কত্বের চাপে নুইয়ে যেতে পারেন তারা দুইজন।

যার প্রভাব পড়তে পারে তাদের ব্যাটিং পারফরমেন্সে। তখন অবশ্য দলের লোকসানের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে বহুগুণে। তেমন লোকসান এড়াতে লিটন দাসকে দেওয়া যেতে পারে অধিনায়কত্ব। তিন ফরম্যাটের জন্য বিবেচনায় থাকতে পারেন তিনি অনায়াসে। যদিও তিনিও যে ফর্মে রয়েছেন তা নয়। তবে অভিজ্ঞতার বিচারে তিনিই যথাযথ।

তবে অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা তার খুব একটা সুখকর নয়। তিন ফরম্যাটের নয় ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন লিটন। দুইটি টেস্ট, ছয়টি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টিতে তার অধীনে খেলেছে বাংলাদেশ দল। যার মধ্যে তিনটি ওয়ানডে জিতেছে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ঘটনাও রয়েছে।

অন্যদিকে, দুই টেস্টের দুইটিই জিতেছে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, তার অধিনায়কত্বের মঞ্চের সিংহভাগ দেশের মাটি। একমাত্র টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে। সেটি হেরেছিল বাংলাদেশ।

একেবারে অসফল অধিনায়ক তিনি। কিন্তু তিনি সব সময় ছিলেন আপদকালীন অধিনায়ক। পূর্ণ দায়িত্ব পালনে কতটুকু সামর্থ্য তিনি রাখেন, সে প্রশ্ন থেকেই যায়। যদিও তিনি অধিনায়কত্ব সাদরে গ্রহণ করবেন কি-না সেটাও একটা প্রশ্ন।

Share via
Copy link