২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালের কথা মনে আছে? পুরো ম্যাচ জুড়ে আধিপত্য দেখিয়েছিল আর্জেন্টিনা কিন্তু কিলিয়ান এমবাপ্পে একাই ফ্রান্সকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রেখেছিলেন। সেন্ট জেমস পার্কে ঠিক সেই ম্যাচের পুনরাবৃত্তি ঘটলো যেন, যেখানে আর্জেন্টিনার ভূমিকায় ছিল নিউক্যাসেল আর এমবাপ্পে রূপে আবির্ভাব ঘটেছিল মোহামেদ সালাহর।
আলেক্সান্ডার ইসাকের গোল দিয়েই শুরু, ভার্জিল ভ্যান ডাইকের বাঁধা ডিঙিয়ে দারুণভাবে ব্রুনো গুইমারেজের থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলেন তিনি। এরপরই দুর্ধর্ষ শটে গোলপোস্টের টপ কর্নার খুঁজে নেন, এগিয়ে যায় তাঁর দল।
কিন্তু বিরতি থেকে ফিরেই দলকে সমতায় ফেরান সালাহ; না, তিনি নিজে গোল করেননি। বরং গোল করিয়েছেন কার্টিস জোনসকে দিয়ে। তাঁর ক্রস থেকে জালের দেখা পান জোনস। যদিও সমতায় বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি তাঁরা; খানিক পরেই অ্যান্থনি গর্ডনের গোল, পিছিয়ে পড়ে লিভারপুল।
সেটা বোধহয় মিশরীয় তারকার পছন্দ হয়নি, ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি। ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের পাস থেকেই পর পর দুইবার গোল করেন। ম্যাচে প্রথমবারের মত লিড পায় টেবিল টপাররা; এমনকি জয়ের স্বপ্নও দেখতে শুরু করেছিল হয়তো।
কিন্তু অদৃষ্টের লিখন ছিল অন্যরকম, ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে ফ্যাবিয়ান স্ক্যার অলরেডদের হৃদয়ে ভাঙ্গন সৃষ্টি করেন। গুইমারেজের ক্রস মাঠের বাইরে যাবে ভেবে খানিকটা অসতর্ক হয়ে গিয়েছিলেন কেল্লেহার, সেই সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করেছেন স্ক্যার। শেষমেশ ৩-৩ গোলে শেষ হয় দুই দলের রোমাঞ্চকর এ লড়াই।
দুই গোল, এক অ্যাসিস্ট, তিনটা গোলের চান্স তৈরি – এতকিছুর পরও দলকে জেতাতে পারলেন না অ্যানফিল্ডের আফ্রিকান রাজা। তবে দল না জিতলেও তিনি কেন প্লেয়ার অব দ্য সিজনের সবচেয়ে বড় দাবিদার সেটার প্রমাণ পাওয়া গেলো আরো একটা ম্যাচে। তাঁর এমন ফর্মের ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে এই ম্যাচ না জিতলেও লিগ শিরোপা ঠিকই জিতবে লিভারপুল।