লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেটের এলিমেনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইন্ডিয়া ক্যাপিটালস আর গুজরাট জায়ান্টস। শেষমেশ ক্যাপিটালস জিতলেও এই ম্যাচের ফলাফল ছাপিয়ে শিরোনাম দখল করেছে এস শ্রীশান্ত এবং গৌতম গম্ভীরের দ্বন্দ। সেদিন দুজনেই বাইশ গজে কথার লড়াইয়ে মেতে উঠেছিলেন।
এই ঘটনা আরও ভাইরাল হয় যখন শ্রীশান্ত ইনস্টাগ্রামে এটি নিয়ে ভিডিও শেয়ার করেন। সেই ভিডিওতে শ্রীশান্ত গুরুতর অভিযোগ করেন গম্ভীরের নামে। তিনি দাবি করেছেন যে তাঁকে বাজে ভাষায় অপমান করা হয়েছে।
এবার দুই ভারতীয় ক্রিকেটারের বিবাদে হস্তক্ষেপ করেছে এলএলসি কতৃপক্ষ। আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ইতোমধ্যে তাঁরা শ্রীশান্তকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে এবং অতিদ্রুত ভিডিও বার্তা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একই সাথে এটি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও রমন রাহেজা বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের চুক্তিভিত্তিক বাধ্যবাধকতা এবং লিগের আচরণবিধির নীতি অনুসারে তদন্ত চালাচ্ছি।’ এছাড়া মাঠে দ্বন্দ নিরসনের চেষ্টা করা আম্পায়াররা ম্যাচ শেষে তাঁদের প্রতিবেদন দাখিল করেছে। যদিও সেখানে ‘ফিক্সার’ শব্দটির উল্লেখ নেই।
কিন্তু সাবেক এই পেসারের ভিডিও অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গম্ভীর তাঁকে একাধিকবার ফিক্সার বলেছে। তবে তিনি নিজেই আবার ভিডিওতে একসময়ের সতীর্থকে ‘উগ্র’ এবং ‘ক্লাসলেস’ বলে সম্বোধন করেছেন।
সম্প্রতি শ্রীশান্তের স্ত্রীও জড়িয়ে পড়েছেন বিতর্কে। তিনি বলেন, এসব শুনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। একজন ক্রিকেটার যে শ্রীর সাথে বহু বছর ধরে ভারতের হয়ে খেলেছে সে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার এত বছর পরেও কিভাবে এতটা নিচু হতে পারে।’
গৌতম গম্ভীর অবশ্য এখন পর্যন্ত কিছু বলেননি এই ব্যাপারে। তাই একপাক্ষিক কথা শুনেই সিদ্ধান্ত নেয়ার কোন সুযোগ নেই। সেজন্যই এখন অপেক্ষা করতে হবে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের জন্য।