সৌদি আরব যেন পাখির চোখ করেছে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের ওপর, তাঁকে ৩৫০ মিলিয়ন বেতনের লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি প্রো লিগ। কিন্তু খুব স্বাভাবিকভাবেই অর্থের ঝনঝনানি ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি, না বলে দিয়েছেন তাঁদের প্রস্তাবে। কোটিপতি নয় বরং ফুটবলীয় মানদন্ডে নিজেকে ধনী করে তোলার দিকেই আপাতত মনোযোগ তাঁর।
সৌদি সরকারের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) মূলত বড় বড় ফুটবলারের ট্রান্সফারের ব্যাপার দেখাশোনা করে। ভিনিসিয়াসের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে তাঁরা; সুযোগ সুবিধা ব্যাখ্যা করেছে। এক্ষেত্রে স্রেফ মাঠের খেলোয়াড় হিসেবে নয় বরং তাঁকে মাঠের বাইরের গুরুত্বপূর্ণ মানুষ হিসেবেও দেখতে চায় সৌদি কতৃপক্ষ।
২০৩৪ ফিফা বিশ্বকাপের আসর বসবে মরুভূমির দেশে, সেই টুর্নামেন্টের অ্যাম্বাসডর বানানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সাম্বা বয়কে। সেই সাথে তাঁর দাতব্য সংস্থার সাথে অনলাইন আর অফলাইনে কাজ করার প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। ফুটবলের সীমা ছাড়িয়ে নিজেদের স্পোর্টস প্রোফাইল ভারী করতেই এমন সব বিলাসি আয়োজন তাঁদের।
ভিনি অবশ্য এসব শুনতেই রাজি নন আপাতত। ব্যালন ডি’অর জয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন, এমন মুহূর্তে কে ছাড়তে চাইবে ইউরোপীয় ফুটবলের ঝলমলে উৎসব। বলা যায়, বর্তমানে সেরা ফুটবলারের সংক্ষিপ্ততম একটা তালিকা করা হলেও জায়গা দিতে হবে তাঁকে। তিনি নিজেকে কতটা উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
চলতি মৌসুমেও রিয়াল মাদ্রিদের অন্যতম ভরসা এই লেফট উইঙ্গার। কিলিয়ান এমবাপ্পে আর জুড বেলিংহ্যামের সঙ্গে মিলে গড়ে তুলেছেন ঈর্ষনীয় ত্রয়ী, নজর এখন তাঁদের শিরোপা জয়ের দিকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা হাতের মুঠোয় না নেয়ে নিশ্চয়ই স্বস্তি পাবেন না তাঁরা।
অন্যদিকে পিআইএফও বসে নেই; পরের ট্রান্সফার উইন্ডোতে আরো বিশাল কোন প্রস্তাব নিয়েই এই তারকার সামনে হাজির হবে তাঁরা। যদিও চুক্তি সম্পাদন এখনো বহুদূরের পথ, এক বিলিয়ন ইউরোর রিলিজ ক্লজ ট্রিগার না করলে রিয়াল মাদ্রিদ কোনভাবেই ছাড়তে চাইবে না গ্যালাকটিকোর একজনকে। এখন দেখার বিষয়, জল কতদূর গড়ায়।