ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফরম করেন, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যখনি সুযোগ পেয়েছেন কমবেশি অবদান রেখেছেন – তবু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শেখ মেহেদী হাসানের জায়গা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কেউ কেউ তাঁকে বাদ দিয়ে মেহেদি হাসান মিরাজকে চেয়েছিলেন। যদিও নির্বাচকদের ভরসা ছিল তাঁর ওপর, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সেই ভরসার প্রতিদানই দিলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাট দিয়েই লাল-সবুজের জার্সিতে পথচলা শুরু হয়েছিল এই অফ স্পিনারের। বল হাতে শুরু থেকেই ধারাবাহিক ছিলেন, মাঝে দল থেকে বাদ পড়লেও প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে। একাদশের অবিচ্ছেদ্য অংশ এখন তিনি, তাঁর পারফরম্যান্সও সেই কথা বলে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এদিন চার ওভার হাত ঘুরিয়ে দুই উইকেট শিকার করেছেন এই বোলার; বিনিময়ে খরচ করেছেন মোটে ১৬ রান। সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপে ধ্বস নামানোর কাজটা তিনিই শুরু করেছিলেন, তাঁর দেখানো পথে পথে এরপর হেঁটেছেন তাসকিন আহমেদ আর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
দ্বিতীয় ওভারেই মেহেদীকে আক্রমণে এনেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করে সেই ওভারেই ক্রেইগ আরভিনের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তিনি। তবে দলকে দেয়া তাঁর সবচেয়ে বড় উপহার সিকান্দার রাজার উইকেট; প্রতিপক্ষের দলপতিকে প্রথম বলেই থামিয়ে দিয়েছিলেন।
নিজের শেষ দুই ওভারে কোন উইকেট না পেলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে গিয়েছেন এই ডানহাতি। ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে আবার কোন রানই দেননি তিনি – সবমিলিয়ে বলতে গেলে, চমৎকার একটা বোলিং স্পেল পার করেছেন।
ক্রিকেটাঙ্গনে যত আলোচনাই হোক, বিশ্ব মঞ্চে এই তারকার থাকটা প্রায় নিশ্চিত। তাই তো দায়িত্ব নিতে হবে তাঁকে; পাওয়ার প্লে কিংবা ডেথ ওভার যেকোনো সময় বল করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তাছাড়া ব্যাটিংয়ে এখনো বলার মত কিছু করতে পারেননি, সেদিকে কিছুটা হলেও মনোযোগী হওয়া উচিত তাঁর।