লাসিথ মালিঙ্গা এবং মাহেলা জয়াবর্ধনের কারণেই পাঞ্জাবের কাছে কোয়ালিফায়ার হেরেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ডাগআউট থেকে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে মুম্বাইয়ের ছয় নম্বর ট্রফি জয়ের পথে। মুম্বাইয়ের হেক্সা মিশনের পথে বড় বাঁধা এই লঙ্কান সিন্ডিকেট, দাবি মুম্বাই দলে খেলা কিংবদন্তি হরভজন সিংয়ের।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ২০৩ রানের বিশাল স্কোর করেও হেরে যায় মুম্বাই। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে জয়বর্ধনে এবং মালিঙ্গাকে ডাগআউটে বারবার হাত নেড়ে, মুখে কিছু বলে বা খেলোয়াড়দের ডেকে নির্দেশনা দিতে দেখা যায়। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এমন কিছু খেলোয়াড়দের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করে বলে মনে করেন হরভজন সিং।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে হরভজন বলেন, ‘মুম্বাই ইন্ডিয়ানস যখন রান দিচ্ছিল, তখন ডাগআউট থেকে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ চোখে পড়েছে। একজন কোচের কাজ পরামর্শ দেওয়া, চাপ সৃষ্টি করা নয়। কোচরা বুমরাহকেও পর্যন্ত বলে দিচ্ছেন কী করতে হবে, কী নয়—এটা একজন অভিজ্ঞ বোলারের আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। ড্রেসিংরুমে শান্ত পরিবেশ থাকা জরুরী।’
এখানেই থেমে থাকেননি হরভজন। তিনি আরও বলেন, ‘রোহিত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া—এই খেলোয়াড়দের বড় মঞ্চে অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁরা একসাথে অনেকবার শিরোপা জিতেছে। তাদের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। কিন্তু কোচিং স্টাফ বারবার মাঠের বাইরে থেকে সংকেত দিয়ে মনোসংযোগ নষ্ট করেছে। এটা খেলোয়াড়দের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’
পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৭ উইকেটে হারার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে মুম্বাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে। বিশেষ করে বোলিংয়ের সময় বোলার পরিবর্তন, ফিল্ড সেটিং, এমনকি মিড ইনিংসে মালিঙ্গা ও জয়বর্ধনের অস্থিরতা নিয়ে চলছে তীব্র আলোচনা।
তবে, সবকিছু ছাপিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মৌসুমটা শেষ হলো অপ্রাপ্তিতে। শুরুতে ছয় ম্যাচে পাঁচ হার—তারপর টানা ছয় জয়। এলিমিনেটরে গুজরাটকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারে ওঠা। কিন্তু ফাইনালের এক ধাপ আগে এসে স্বপ্নভঙ্গ।
ম্যাচ শেষে অনেকেই মনে করছেন, কোচদের উচিত ছিল খেলোয়াড়দের উপর বিশ্বাস রাখা। অভিজ্ঞ তারকাদের ঘিরে দল গড়ে ওঠা সত্ত্বেও ডাগআউটের অস্থিরতা এমনটা ইঙ্গিত করে একটা প্রবাদে, ‘অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট।’ মুম্বাইয়েরও কি তাই হলো?