প্যাট্রিক ক্লুইভার্ট, কিংবদন্তি স্ট্রাইকার। কত শতবার প্রতিপক্ষের বুক চিরে গোল উদযাপনে মেতেছেন তিনি তার ইয়াত্তা নেই। নিজে মাঠে দাপট দেখিয়েই তুষ্ট হননি অবশ্য, চার ছেলের প্রত্যেককেই গড়ে তুলেছেন ফুটবলার হিসেবে। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত নাম জাস্টিন ক্লুইভার্ট, বোর্নমাউথের এই ফরোয়ার্ড সবশেষ ম্যাচে বনে গিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হন্তারক।
তখন এক গোলে পিছিয়ে রেড ডেভিলরা, ব্যবধান দ্বিগুণ করতে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন ক্লুইভার্ট। তাঁকে থামাতে গিয়ে ফাউল করে বসেন মাজরাউই – ফলাফল, পেনাল্টি। তিনি নিজেই স্পট কিক থেকে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন, গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে পাঠিয়েছিলেন উল্টো দিকে।
এই নিয়ে চলতি প্রিমিয়ার লিগে ছয় গোল করেছেন এই ডাচ তারকা; সেই সাথে দুইটা অ্যাসিস্টও আছে তাঁর নামের পাশে। লিগে বোর্নমাউথ যে চমক দেখিয়ে চলছে সেখানে তিনি নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা সদস্যদের একজন।
ম্যানচেস্টার ডার্বিতে জয়ের স্বাদই ভুলে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের দুরাবস্থার সুবাদে অবশেষে আরাধ্য সেই স্বাদ পায় তাঁরা। কিন্তু সেটস বোধহয় একটু বেশিই আত্মবিশ্বাসী করে ফেলেছে তাঁদের। আর অতি-আত্মবিশ্বাস ডেকে এনেছে পতন। একেবারে স্বর্গ থেকে রেড ডেভিলদের মাটিতে নামিয়ে এনেছে বোর্নমাউথ। ম্যাচে লড়াই করা তো দূরে, রেড ডেভিলরা এদিন দাঁড়াতেই পারেনি।
শুরুটা করেছিলেন ডিন হুইজসেন, রায়ান ক্রিস্টির সেটপিস থেকে হেডারে বল জালে জড়ান তিনি। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে স্বাগতিকদের নাকের জল চোখের জল এক হয়ে যাবে সেটা তখনি বোঝা গিয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধেই স্পষ্ট হয়ে যায় সেটা, ক্লুইভার্টের সফল পেনাল্টির পরপরই আঘাত হানেন অ্যান্টনি সেমেন্যো।
রুবেন আমরিমের আগমনের পর, ডার্বিতে সিটিজেনদের হারানোর পর ইউনাইটেডবাসী যে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সেটা রীতিমতো ভূলন্ঠিত হলো – কোচ নয় বরং ক্লাব পুরোটাই একটা সমস্যা সেটাই স্পষ্ট হলো। এমন কঠিন বিপর্যয় থেকে কিভাবে উঠে আসবে তাঁরা সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।