রিয়াল মাদ্রিদ বার্সেলোনার অফসাইড ট্র্যাপ ভাঙতে না পারলেও বুকায়ো সাকা পেরেছেন লিভারপুলের অফসাইড ট্র্যাপ ভাঙতে। বেন হোয়াইটের লং বল রিসিভ করেই অ্যান্ড্রু রবার্টসনকে বোকা বানিয়ে তিনি ছুটে যান গোলরক্ষকের দিকে। এরপর বাম পায়ের জোরালো শটে টপ কর্নার খুঁজে নেন, দলকে এগিয়ে দেয়ার পাশাপাশি পূর্ণ করেন ক্লাবের হয়ে পঞ্চাশ গোলের মাইলফলক।
কত কিংবদন্তিই তো খেলেছেন আর্সেনালের জার্সিতে, তবে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোলের হাফ-সেঞ্চুরি করার কীর্তি এখন এই উইঙ্গারের দখলে। থিয়েরি হেনরিকে পিছনে ফেলে রেকর্ডের মালিক বনে গিয়েছেন তিনি। এছাড়া প্রিমিয়ার লিগে কোন ক্লাবের হয়ে অর্ধশত গোল প্রাপ্তির তালিকায় সপ্তম সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ও তিনি।
রেকর্ড গড়ার দিনে সাকা অবশ্য উজ্জ্বল ছিলেন পুরোটা সময়, নব্বই মিনিট জুড়ে তিনি দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। ড্রিবলিং, বল ক্যারি কিংবা ডুয়েল সব জায়গায় আধিপত্য ছিল তাঁর – এতকিছুর পরও তিনি পারেননি আর্সেনালকে জয় এনে দিতে।
যদিও সেটা গানার্সদের দুর্ভাগ্য, দুই দুইবার লিড পেয়েও ধরে রাখতে পারেনি তাঁরা। প্রথমবার বুকায়ো সাকা এগিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের, কিন্তু নয় মিনিট পরেই ভার্জিল ভ্যান ডাইকের হেডার খুঁজে নেয় জালের ঠিকানা। এরপর আবারো লিড এনে দিয়েছিলেন মাইকেল মেরিনো, বিরতির ঠিক আগে ডেকলান রাইসের বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রি কিক থেকে গোল করেন তিনি।
কিন্তু, বরাবরের মতই অলরেডদের ত্রাতা হয়ে এসেছিলেন মোহামেদ সালাহ, কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ড ডিফেন্স লাইনের ওপর দিয়ে বল পাঠান ডি বক্সের দিকে। কৌশলী সালাহ সেই বল ডারউইন নুনেজের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দিয়ে নিজে সরে আসেন ফাঁকায়। অত:পর নুনেজের বাড়িয়ে দেয়া বল জালে পাঠিয়ে এক পয়েন্ট নিশ্চিত করেন তিনি।
দুই হেভিওয়েট দলের ড্রয়ের ফলে জয়টা আসলে পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। টানা কয়েক সপ্তাহ টেবিলের দুই আর তিন নম্বরে থাকার পর অবশেষে সবার উপরে উঠে আসলো তাঁরা। আপাতত লিভারপুলের সঙ্গে সিটিজেনদের পয়েন্টের ব্যবধান এক এবং আর্সেনালের সাথে পাঁচ।