ম্যাচের তখন দশ মিনিটও বাকি নেই, দুই গোলে এগিয়ে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। তাই তো সমর্থকেরা যদি জয় নিশ্চিত ধরে নেয় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকে না। ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে সেটাই হয়েছে, ৮২ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়েই ছিল দলটা কিন্তু এরপর যা হলো সেটা ফুটবলপ্রেমীরা মনে রাখতে বাধ্য।
পরাজয় নিশ্চিত জেনেও ব্রেন্টফোর্ড দমে যায়নি, উল্টো দ্বিগুণ উদ্যম নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ম্যানসিটির রক্ষণভাগে ৷ ম্যাডস রয়েরস্লেভের ক্রস থেকে এক গোল শোধ দেন ইয়োন উইসা। এর মধ্য দিয়ে ইভান টনিকে ছাড়িয়ে ক্লাব ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোল সংগ্রাহক বনে গিয়েছেন তিনি। আর তাঁর এ গোল মোমেন্টাম পুরোপুরি বদলে দিয়েছে।
৯২ মিনিটের সময় আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, প্রায় আগের গোলটার মতই উইং থেকে ভেসে আসা ক্রসে মাথা ছুঁয়ে গোল করেন ক্রিস্টিয়ান নরগার্ড। আপ্রাণ চেষ্টা করেও ওর্টেগা পারেননি সিটিজেনদের মান বাঁচাতে।
অথচ শুরুটা হয়েছিল স্বপ্নের মতই, ফিল ফোডেন একাই ম্যাচের ভাগ্য লিখে দেয়ার কাজটা প্রায় করে ফেলেছিলেন। প্রথমার্ধে ম্যানসিটি একক আধিপত্য দেখালেও গোলের সুযোগ সেভাবে কাজে লাগাতে পারেনি, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সব হিসেব নিকেশ পাল্টে দেন এই তরুণ নিজেই।
কাউন্টার এটাকের সুবাদে বিপদজনক জায়গায় বল পেয়ে যান ডি ব্রুইনা, দুর্দান্ত একটা পাসে এরপর ডি বক্সে ইংলিশ তারকাকে খুঁজে নেন তিনি। বাকি কাজটা খুব কঠিন ছিল না। মিনিট দশেক পরে আবারো গোল, আবারো ফোডেন – স্যাভিনহোর প্রচেষ্টা ফ্লেকেন ফিরিয়ে দিতে পারলেও ফিরতি শটে ঠিকই লিড দ্বিগুণ করেন তিনি।
যদিও জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি এসব, সপ্তাহ দু’য়েক আগের ম্যানচেস্টার সিটি যেমন এলোমেলো খেলা খেলে বেড়াতো ঠিক সেটারই পুনরাবৃত্তি ঘটলো এদিন। তাই তো সেরা চারে উঠেও ওঠা হলো না তাঁদের। এভাবে পয়েন্ট খোয়াতে থাকলে অবশ্য আরো নিচের দিকে যেতে হবে।