আইপিএল গ্রেটনেসের দুয়ারে

এবারের আইপিএলে স্বপ্নের মতো শুরু করেছেন ইংল্যান্ড এবং লখনৌ সুপার জায়ান্টসের গতি তারকা মার্ক উড। নিজের প্রথম দুই ম্যাচেই আট উইকেট শিকার করেছেন এই তারকা। ইনজুরির কারণে গত মৌসুমে মাঠে নামতে না পারার আক্ষেপ উড মেটাচ্ছেন বল হাতে গতির ঝড় তুলে। 

পাঁচ মৌসুম আগে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএলে অভিষেক ঘটে উডের। কিন্তু প্রথম ম্যাচে চার ওভারে ৪৯ রান হজমের পর আর কখনো চেন্নাইয়ের একাদশে জায়গা মেলেনি তাঁর। কিন্তু এবারের মৌসুমে যেন পুর্নজাগরণ ঘটেছে এই পেসারের। উড দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবারের আইপিএলে নিজের সামর্থ্যের জানান দিতে। 

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আইপিএলে আমার কিছু অসম্পূর্ণ কাজ আছে। আমি তাই এবারের আসরে খেলতে আসতে খুব করে চাইছিলাম। নিজেকে প্রমাণের জন্য মুখিয়ে আছি। আমি ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটেই বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছি। কিন্তু আইপিএলে এখনো সেই সৌভাগ্য হয়নি। তাই এবার আমি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের মাঝে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। আমি দেখিয়ে দিতে চাই আমি আইপিএলে খেলার যোগ্য।’

দিল্লী ক্যাপিটালসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই ১৪ রানে পাঁচ উইকেট শিকার করেন উড। সেদিন তাঁর বোলিংয়ের সামনে বড্ড অসহায় লাগছিল ডেভিড ওয়ার্নার, রাইলি রুশো, মিচেল মার্শদের। পারফরম্যান্সের ধারাটা বজায় রেখেছেন পরের ম্যাচেও। নিজের পুরনো দল চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে খানিকটা খরুচে হলেও ৪৯ রানে তুলে নিয়েছেন তিন উইকেট। 

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না আমি সেই সময়টাতে চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলাম। আমি একটি মাত্র ম্যাচে মাঠে নেমেছিলাম এবং প্রচুর রান হজম করেছিলাম। আমার ধারণা আমার প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ শেষেই আমাকে মাঠে নেমে পড়তে হয়েছিল। এটা আমার ভুল ছিল, আমার আরো ভালো করে প্রস্তুতি নিতে হতো।’

গত মৌসুমের নিলামে তাঁকে ৭.৫ কোটি রুপিতে দলে ভেড়ায় লখনৌ। কিন্তু টুর্নামেন্টের  ঠিক আগ মুহূর্তে কনুইয়ের ইনজুরিতে পুরো টুর্নামেন্টের জন্য ছিটকে যান এই তারকা। তবে লখনৌ ধৈর্য হারায়নি, তাঁরা উডকে ধরে রেখেছিল এবারের মৌসুমের জন্যও। এই মৌসুমে টিম ম্যানেজমেন্টের সেই আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন এই তারকা। 

৩৩ বছর বয়সী এই পেসার বলেন, ‘আমি এই মৌসুমে লখনৌর হয়ে নিজের সেরাটা দিতে চাই। আমার উপর যে ভরসা টিম ম্যানেজমেন্ট দেখিয়েছে তাঁর প্রতিদান দিতে চাই। এছাড়া আমাদের দলের পরিবেশটা ভীষণ ভালো। লোকেশ রাহুল দুর্দান্ত একজন অধিনায়ক। টিম ম্যানেজমেন্ট একদম শুরুতেই দলে প্রত্যেকের ভূমিকা স্পষ্ট করে দিয়েছে।’

এছাড়া বোলিংয়ের সময় রাহুলের সাহায্য নেবার কথাও অকপটে স্বীকার করেন এই পেসার। তিনি বলেন, ‘সে স্থানীয় ক্রিকেটার, পিচের সম্পর্কে বাকিদের চাইতে সে ভালো জানে। ম্যাচের আগে পরিকল্পনা সাজানোর সময় সে আমাকে ভীষণ সাহায্য করে। উইকেট পেলে কার না ভালো লাগে, তাছাড়া লখনৌতে আমার মূল দায়িত্বই উইকেট তুলে নেয়া।’

আগের দুই ম্যাচের চাইতে জোরে বল করার ক্ষমতা রাখেন এমন দাবি করেন এই পেসার। তিনি বলেন, ‘আমি পরে টিভিতে দেখছিলাম ১৪০-১৪৩ গতিতে বল করছিলাম। এটা কিছুটা হতাশাজনক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link