ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচেও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের একাদশে জায়গা হয়নি রুবেল মিয়ার। তামিম ইকবালের চোটের কারণে সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে প্রথম বারের মতো সুযোগ পান এই ওপেনার। কিন্তু প্রথম সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
তবে প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও নিজকে প্রমাণ করতে বেশি সময় নিলেন না এই ব্যাটসম্যান। সুপার লিগের ষষ্ঠ ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের দেওয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪০ বলে ৬৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন রুবেল। তার ইনিংসে ভর করেই ৫ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক।
তবে ১৫৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি প্রাইম ব্যাংকের। দলীয় ২৫ রানে আবু জায়েদ চোধুরি রাহীর প্রথম শিকার হয়ে ৯ রান করে ফিরে যান রনি তালুকদার। এর পর দ্বিতীয় উইকেটে রুবেল ও এনামুল হক বিজয়ের ৬৪ রানের জুটিতে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় প্রাইম ব্যাংক।
কিন্তু পর পর দুই ওভারে বিজয় ও রুবেল ফিরে গেলে চাপে পড়ে প্রাইম ব্যাংক। ১৩ বলে ১৪ রান করেন বিজয় ও রুবেলের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৬৫ রান। ৯৩ রানে ৩ উইকেট হারালেও জয় পেতে সমস্য হয়নি প্রাইম ব্যাংকের। ৫ বল হাতে রেখে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় প্রাইম ব্যাংক।
২৫ বলে ৩১ রান করে রাকিবুল হাসান ও ৬ বলে ১১ রান করে নাঈম হাসান অপরাজিত থাকেন। মোহামেডানের পক্ষে একটি করে উইকেট শিকার করেন আসিফ হাসান, শুভাগত হোম ও আবু জায়েদ চৌধুরি রাহী।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা মোহামেডানকে উড়ন্ত শুরু এনে দিয়ে ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। এই ওপেনারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৩২ বলে ৫৮ রান তোলে মোহামেডান। কিন্তু ২০ বলে ৪৫ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে ইমন ফিরে গেলেই পথ হারায় মোহামেডানের ইনিংস।
এরপর একে একে ফিরে যান আব্দুল মজিদ (১৪), শামসুর রহমান (৩), নাদিফ চৌধুরি (৩) ও ইরফান শুকুর (২৪)। ৯৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা মোহামেডান লড়াই করার পুঁজি পায় মাহমুদুল হাসান ও শুভাগত হোমের ব্যাটে। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৪৯ রান।
১৫ বলে ২৫ রান করে শুভাগত আউট হয়ে গেলেও ২৯ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদুল হাসান। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে মোহামেডান। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে দুটি করে উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ১৫৪/৭ (ওভার: ২০; পারভেজ- ৪৫, মাহমুদুল- ৩২*, শুভাগত- ২৫) (মুস্তাফিজুর- ৪-০-২২-২, শরিফুল- ৩-০-২৭-২)
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ১৫৫/৫ (ওভার: ১৯.১; রুবেল- ৬৫, বিজয়- ১৪, মিথুন- ১৭, রাকিবুল- ৩১*, নাঈম- ১১*) (শুভাগত- ৪-০-২৪-১)
ফলাফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৫ উইকেটে জয়ী।