সাত নম্বর পজিশন – বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বড় দুশ্চিন্তার নাম। এই জায়গাটায় কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে বাজিয়ে দেখছেন অনেককেই। এর মধ্যে সৌম্য সরকার কিংবা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ছাড়াও আছেন শেখ মেহেদী হাসান। যদিও, এই মেহেদীকে এক রকম জাতীয় দল থেকে ছুঁড়েই ফেলেছিলেন সাবেক টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম।
মেহেদী টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন ২০২২ সাল পর্যন্ত। দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে ছিল তাঁর বড় ভূমিকা। সর্বশেষ জাতীয় দলে খেলেন ২০২২ সালের এশিয়া কাপে। তবে, শ্রীরামের দাবি ছিল তিনি টি-টোয়েন্টি দলে উপযুক্ত নন। ফলে, আর বিশ্বকাপ খেলা হয়নি মেহেদীর। এরপর আর কোনো ফরম্যাটেই তাঁকে ডাকেনি নির্বাচকরা। অনিদির্ষ্টকালের এই বিরতিতে যাওয়ার আগে খেলেন ৩৮ টি টি-টোয়েন্টি।
সেই তুলনায় ওয়ানডেতে তিনি একেবারেই অনভিজ্ঞ। মোটে তিনটা ম্যাচ খেলেন, তিনটাই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেখানে পারফরম্যান্স আহামরি কিছু নয়। তবে, বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সেরা ইকোনমি রেট তাঁর। মাত্র ৬.৫৬। সেটা মাথায় রেখেই হাতুরুসিংহের পরিকল্পনায় আছেন তিনি। নেটে তাকে আলাদা করে সময়ও দিয়েছেন হাতুরু।
আর সাদা বলের ক্রিকেটে কার্যকর হওয়ার সামর্থ্য আছে মেহেদীর। বিশেষ করে, তাঁকে দিয়ে যেকোন পজিশনে ব্যাট করানো যায়। ফলে, সাত নম্বরে তাঁকে দিয়ে চেষ্টা করিয়ে দেখা যেতে পারে। আর বোলিং নিয়ে কখনওই তাঁর তেমন একটা প্রশ্ন নেই। ডান-হাতি এই স্পিনার সাকিব-মিরাজ বা তাইজুল-নাসুমদের পাশাপাশি বেশ বৈচিত্র এনে দিতে পারেন বোলিং আক্রমণে।
বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে ২২ থেকে ২৫ ক্রিকেটারকে বাছাই করতে হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের একটা প্রাথমিক তালিকা দিতে হবে প্রতিটি দলকে। সেজন্যই, জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ক্রিকেটারদের স্মরণ করছেন হাতুরুসিংহে। এটা হাতুরুসিংহের নিজস্ব ধরণ। সর্বশেষ ২০১৫ বিশ্বকাপের আগেও তিনি ঠিক এই একই কাজটাই করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রাথমিক স্কোয়াডে মূল স্কোয়াডের বাইরেও তাই সাত থেকে ১০ জন ক্রিকেটার রাখার সুযোগ আছে। এরা এই সময় জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকবেন। এবং প্রয়োজন মনে করলে তাঁদের ‘এ’ দল বাংলাদেশ টাইগার্স ইউনিটের সাথে যুক্ত করা হবে।
তবে, সমস্যা অন্য জায়গায়। মেহেদী তো বটেই, সৌম্য বা মোসাদ্দেক – কাউকেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজের দলে রাখা হয়নি। ফলে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাতুরুসিংহের হাতে যথেষ্ট সময় নেই। দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান না আসলে বড় বিপদেই পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল।