চারগুণ বেশি বেতনে ভারতের নির্বাচক প্যানেলে শেবাগ?
নির্বাচক পদে বড় কোনো নাম কখনোই খুব একটা দেখা যায় না। এটা বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) কোনো কৌশল নয়, বরং বড় একটা ভূমিকা রাখে পারিশ্রমিক। নির্বাচকদের যে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, সেটা দিয়ে সাবেক তারকাদের আকৃষ্ট করা যায় না বললেই চলে।
নির্বাচক পদে বড় কোনো নাম কখনোই খুব একটা দেখা যায় না। এটা বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) কোনো কৌশল নয়, বরং বড় একটা ভূমিকা রাখে পারিশ্রমিক। নির্বাচকদের যে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, সেটা দিয়ে সাবেক তারকাদের আকৃষ্ট করা যায় না বললেই চলে।
চেতন শর্মার বিদায়ের পর বিসিসিআই নতুন করে প্রধান নির্বাচক পদে কাউকে দায়িত্ব দেয়নি। অন্তবর্তীকালীন প্রধান হিসেবে দায়িত্বে আছেন ২৩ টেস্ট খেলা সাবেক ওপেনার শিব সুন্দর দাস। নির্বাচক প্যানেলের প্রধানের পারিশ্রমিক বছর প্রতি এক কোটি রুপি। আর বাকি চার সদস্যের পারিশ্রমিক বাৎসরিক নব্বই লাখ রুপি।
দিলীপ ভেঙসরকার, কৃষ্ণামাচারী শ্রীকান্ত, মহীন্দর অমরনাথ কিংবা সন্দীপ পাতিলরা অবশ্য নির্বাচক প্যানেলে ছিলেন। এর মধ্যে ভেঙসরকার, শ্রীকান্ত ও পাতিলের মত বিশ্বকাপজয়ীরা প্রধান নির্বাচকও ছিলেন।
এবারও একটা বড় নাম দেখা যেতে পারে ভারতের নির্বাচক প্যানেলে। উত্তরাঞ্চল থেকে আসা সেই যোগ্য লোকটি হলেন বীরেন্দ্র শেবাগ। আর এর জন্য বিসিসিআই প্রয়োজনে পারিশ্রমিক বাড়াতেও রাজি আছে।
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিসিসিআই কর্মকর্তা বলেন, ‘বীরুকে আমরা প্রস্তাব করেছিলাম, বলেছিলাম প্রধান কোচ হওয়ার আবেদন করতে। এরপর সেটা যায় অনিল কুম্বলের কাছে। বীরু আগ্রহী ছিল না। এখানে পারিশ্রমিক একটা বড় কারণ। আর এবার যদি, উত্তরাঞ্চল থেকে তাঁকে নির্বাচক করার প্রস্তাবনা থাকে তাহলে তাঁর উচ্চতা বিবেচনা করেই পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হবে।’
সাবেক ক্রিকেটাররা এখন ভারতে অনেক ব্যস্ত সময় কাটায়। ব্রডকাস্ট চ্যানেল, আইপিএল দল গুলোর পরামর্শক – কাজের কোনো কমতি নেই তাদের। ফলে, বিসিসিআইতে কাজ করতে গেলে তাদের একটা স্বার্থের সংঘাত থাকেই। সেক্ষেত্রে বিসিসিআই বেতন বাড়িয়ে চারগুণ করতে চলেছে। এমন আভাসই দিলেন ওই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টা এমন না যে, বিসিসিআই নির্বাচকদের একজন চেয়ারম্যানকে কমপক্ষে ৪-৫ কোটি টাকা দিতে পারে না। পারিশ্রমিক ঠিক থাকলে স্বার্থের দ্বন্দ্বের অনেকগুলি সমাধান করা যায়। এটা খ্যাতনামা সাবেক খেলোয়াড়দের নির্বাচক কমিটিতে আসার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করতে বাধ্য করতে পারে।’
উত্তরাঞ্চল থেকে শেবাগ ছাড়াও আরও কয়েকটা বড় নাম আছে। এদের মধ্যে গৌতম গম্ভীর, যুবরাজ সিং বা হরভজন সিংরা বিবেচনায় আসছেন না। কারণ, অবসর নেওয়ার কমপক্ষে পাঁচ বছর পেরিয়ে না গেলে বিসিসিআইসে এমন পদে থাকার এখতিয়ার নেই। তবে, এবার নিয়মে শিথিলতাও আসতে পারে।
তবে, এটা ঠিক যে এখন বিসিসিআই এই জায়গাটাতে ধুঁকছে। কোনো কিংবদন্তিকেই দরকার যিনি বিরাট কোহলি, রবি শাস্ত্রী, রাহুল দ্রাবিড় বা রোহিত শর্মার সাথে একই বৈঠকে বসে কোনো সিদ্ধান্ত দেবার ওজন রাখেন। ওই বোর্ড কর্মকর্তা স্মরণ করিয়ে দেন যে, দিলীপ ভেঙসরকারের নিজস্ব একটা ওজন ছিল বলেই তিনি, এস বদ্রিনাথকে বসিয়ে বিরাট কোহলিকে খেলাতে পেরেছিলেন। বাকিটা তো ইতিহাস।
উত্তরাঞ্চল থেকে অজয় রাত্রার নামও শোনা যাচ্ছে। ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটির (সিওএ) কাছে চেতন শর্মাকে নির্বাচনের সময় তিনিও সাক্ষাৎকার দিয়ে এসেছিলেন। আলোচনায় থাকা আরেকজন হলেন বিবেক রাজদান। তিনি দায়িত্ব নিতে বেশ আগ্রহীও। সাবেক স্পিনার মানিন্দর সিংও আছেন। তিনি দুবার আবেদন করেন, একবার সাক্ষাৎকারও দেন। তবে, এর মধ্যে কোনো নামই আসলে শেবাগের মত কিংবদন্তিতুল্য নয়।