ক্রিকেটাররা অনুশীলন শুরু করার আগে গা গরম করে নেন। কখনো ফুটবল খেলে, কখনো আবার ভলিবল। আজও সকালের অনুশীলনে ব্যাট-বল হাতে নামার আগে বাংলাদেশ দল গা গরম করার জন্য বেছে নিল ফুটবলকেই। হয়তো ফুটবল মৌসুম বলেই। তবে মাঠে উপস্থিত থাকা সাংবাদিকদের জন্য চমক অপেক্ষা করছিল আরো। বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে মাঠে নেমে পড়লেন আর্জেন্টিনার জার্সি পরা এক তারকা।
আসলে আর্জেন্টিনার জার্সি পরে ফুটবল খেলতে নামা সেই মানুষটা ছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ফুটবল ম্যাচ শুরু হবার সাথে সাথেই হঠাত করে আর্জেন্টিনার জার্সি পরে আসেন সাকিব। আর সাকিবকে আকাশী নীল জার্সিতে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেন লিটন দাস। লিটন বলে উঠেন, ‘ওইতো আমাদের মেসি চলে আসছে।’
আসলে সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস দুজনই আর্জেন্টিনার সমর্থক। ফলে প্রিয় দলের বিশ্বকাপ জেতার আনন্দটা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি তারা। লিওনেল মেসি বিশ্বকাপ জিতে ফেললেও সাকিব-লিটনরা অবশ্য খুব একটা সুখকর অবস্থানে নেই। বাংলাদেশ দল ভারতকে ওয়ানডে সিরিজে হারালেও প্রথম টেস্টে হারতে হর্যেছে বেশ বাজে ভাবেই।
ভারতের সামনে অসহায় আত্মসমর্পন করেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। সবচেয়ে বেশি আশা যে লিটনকে নিয়ে তিনিও দুই ইনিংসেই ছিলেন ব্যর্থ। ফলে ঢাকা টেস্টে লিটন নিশ্চয়ই আবার তার চেনা রূপে ফিরতে চাইবেন। ওদিকে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে রানের দেখা পেয়েছেন। তবে চিন্তার বিষয় সাকিবের বোলিং নিয়ে।
ইনজুরির কারণে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করতে পারেননি সাকিব। দ্বিতীয় টেস্টেও সাকিবকে খেলতে হতে পারে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেই। আর ঢাকা টেস্টে সাকিব বোলিং করতে না পারলে তা বাংলাদেশের জন্য বেশ বড় দুঃসংবাদই হবে। কেননা মিরপুরের উইকেট বড় রোল প্লে করতে পারতেন বোলার সাকিব।
ওদিকে দ্বিতীয় টেস্টের দলে যোগ করা হয়েছে একজন বাড়তি স্পিনার। নাসুম আহমেদ আছেন এই টেস্টের দলে। ফলে সাকিব বোলিং করতে না পারলে হয়তো নাসুমকে একাদশেও দেখা যেতে পারে। এছাড়া পেসার এবাদত হোসেনও ছিটকে গিয়েছেন ঢাকা টেস্ট থেকে।
বোলিং আক্রমণে বেশ কিছু ইনজুরি সমস্যা থাকলেও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা ব্যাটিং নিয়ে। চট্টগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের রানের দেখা পাননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। আর মিরপুরে কাজটা হবে আরো কঠিন। ওদিকে নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবাল খেলতে পারছেন না এই ম্যাচেও।
ফলে এই টেস্টেও ওপেনিং পজিশনে দেখা যাবে নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসানকে। তবে তিন নাম্বারে কে খেলবেন তা নিয়ে আছে সংশয়। চট্টগ্রাম টেস্টে তিনে খেলা ইয়াসির আলি রাব্বি দুই ইনিংসেই ছিলেন ব্যর্থ। ফলে ঢাকা টেস্টে এই পজিশনে ভাবনায় থাকতে পারেন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
এছাড়া সিনিয়র ব্যাটার মুশফিকুর রহিমও ফিরতে পারছেন না রানে। তাকে নিয়েও চিন্তিত থাকতে পারে টিম ম্যানেজম্যান্ট। ওদিকে লিটন দাস, নুরুল হাসান সোহানরা শেষ টেস্টে রানের দেখা পাননি। সবমিলিয়ে ঢাকা টেস্টে ভারতের সাথে লড়াই করতে হলে আরো দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাটারদের।